গত ৬ নভেম্বর রবিবার থেকে শুরু হয়েছে এইচএসসি পরীক্ষা। ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের বাংলা প্রথম পত্রে একটি সাম্প্রদায়িক প্রশ্ন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে তদন্তে প্রমাণও পেয়েছে শিক্ষাবোর্ড। তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, সেই বিতর্কিত প্রশ্ন প্রণেতা হলেন ঝিনাইদহের ডাক্তার সাইফুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক প্রশান্ত পাল।
আর এই প্রশ্নের মর্ডারেটর ছিলেন তাজউদ্দিন শাওন, শফিকুর রহমান, শ্যামল ঘোষ ও রেজাউল করিম। এই প্রশ্নের মধ্যে অসৎ উদ্দেশ্য দেখছে বোর্ড। জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আন্তঃশিক্ষাবোর্ডের সমন্বয়ক অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, “যারা বিতর্কিত প্রশ্নটি করেছেন তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। যশোর শিক্ষা বোর্ড তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে জানাবে।”
এদিকে, শিক্ষা গবেষকরা বলছেন, পরীক্ষকদের প্রশিক্ষণের অভাবে এমন অবস্থা হচ্ছে। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআরের সহযোগী অধ্যাপক মজিবুর রহমান বলেন, এটি একটি বাজে উদাহরণ হয়ে থাকবে। প্রজ্ঞাপন দিয়ে বাংলা ১ম পত্রের ১১ নম্বর প্রশ্নটি বাতিল করার দাবি জানাচ্ছি।
অন্যদিকে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় শুধু বিতর্কিত প্রশ্ন করা নয়, পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে ভুল প্রশ্নপত্রেও। ভুল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়ার কারণে কারিগরি বোর্ড বিএমটির বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
এদিকে বিতর্কিত ওই প্রশ্নটি নিয়ে পরীক্ষার পর থেকে আলোচনা শুরু হয়। বিষয়টি ‘দুঃখজনক’ হিসেবে বর্ণনা করে শিক্ষামন্ত্রী সোমবার বলেন, কী কী বিষয় মাথায় রেখে প্রশ্ন করতে হবে, তার স্পষ্ট নির্দেশিকা দেওয়া থাকে শিক্ষকদের। সাম্প্রদায়িকতার কিছু যেন না থাকে, সেটাও সেই নির্দেশিকায় আছে।
সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এবারের এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১২ লাখের বেশি শিক্ষার্থী এতে অংশ নিচ্ছে।
Leave a Reply