1. ashiqnur96@gmail.com : editor :
সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :

জলবায়ু সম্মেলনে স্বাক্ষরিত চুক্তি মেনে চলতে বিশ্বনেতাদের প্রতি শেখ হাসিনার আহ্বান

  • সর্বশেষ আপডেট : মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর, ২০২২
ছবি সংগৃহীত

গত বছর গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলনে স্বাক্ষরিত চুক্তি মেনে চলতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মিশরের শার্ম আল শেখে এই বছরের জলবায়ু সম্মেলনের আগে লেখা এক নিবন্ধে এ আহ্বান জানান তিনি। ৬ নভেম্বর নিবন্ধটি প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকো।

প্রধানমন্ত্রী তার নিবন্ধে লিখেছেন, মানব ইতিহাসে কখনই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এতটা জরুরি হয়ে ওঠেনি। নিজেদের বাড়ি বলে ডাকা এই গ্রহ এবং আমাদের সঙ্গে থাকা প্রজাতিগুলো আর কখনো এতটা ঝুঁকির মধ্যে পড়েনি। তিনি লিখেন, চটকদার বক্তৃৃতা আর উদ্দীপনামূলক ভাষা এখন কেবল শূন্য অনুভূতি। বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে যে জোরালো পদক্ষেপের তাগিদ দিয়ে আসছেন, তার অনুপস্থিতিতে এসব কেবলই ভাষার মাধুর্য্য আর সুরচিত বাক্য।
সম্প্রতি সিলেট আর পাকিস্তানে হয়ে যাওয়া প্রবল বন্যার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘কথার মাধ্যমে মানুষের বাড়িঘর ভেসে যাওয়া, জীবিকা ধ্বংস হওয়া ও প্রিয়জনের মৃত্যু ঠেকানো যায়নি।’ এর বদলে পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে যেসব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তা পূরণে পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি লিখেন, ‘আমাদের মতো যেসব দেশ পৃথিবী উষ্ণায়নের কঠোর বাস্তবতার মুখোমুখি, তাদের সহায়তায় এসব প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে।’

এই বছর শার্ম আল শেখে সমবেত বিশ্বনেতাদের তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতির প্রতি সম্মান দেখানোর আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। উন্নত দেশগুলোর দেওয়া এসব আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি নৈতিক বাধ্যকতা হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত বলে তিনি উল্লেখ করেন। এসব সহায়তা আমাদের মতো জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা লিখেন, ‘এসব (প্রতিশ্রুতি) যদি জলবায়ু পরিবর্তনের বড় আকারের প্রভাব থেকে রক্ষার উদ্দেশ্যে করা হয়ে থাকে, আর এই মুহূর্তে লড়াই চালিয়ে যেতে হয়, তা হলে সহায়তা এখনই প্রয়োজন।’

বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণে বাংলাদেশ বর্তমানে মাত্র ০.৫৬ শতাংশ ভূমিকা রাখছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারপরও বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের যে ক্ষতির শিকার হচ্ছে তা ব্যাপক। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, উপকূল ধস, খরা, দাবদাহ এবং বন্যায় দেশের অর্থনীতির ক্ষতি অব্যাহত রয়েছে। এসব কারণে বাংলাদেশের অবকাঠামো ও কৃষি মারাত্মক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে।

জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক আন্তঃসরকার প্যানেলের (আইপিসিসি) মূল্যায়ন প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন জরিপের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী লিখেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের নিট দারিদ্র্য বাড়বে প্রায় ১৫ শতাংশ। এমন পূর্বাভাসে ভেঙে পড়া সহজ হলেও তা প্রতিরোধযোগ্য বলে স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। আর বাংলাদেশ সেটাই করছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, এমন পরিস্থিতিতে ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্লান’ উন্মোচন করে জ্বালানি নেটওয়ার্ক কার্বনমুক্ত করার পাশাপাশি বর্তমান ও ভবিষ্যতের জন্য সবুজ বিনিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ২০০৯ সালেই বিস্তারিত জলবায়ু পরিবর্তন কৌশল ও অ্যাকশন প্লান গ্রহণ করে। এখন পর্যন্ত এর আওতায় ৪৮০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারের নেওয়া জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্তদের আবাসনসহ নানা পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে লিখেছেন, গত বছর যেসব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে তা অবশ্যই পূরণ করতে হবে, বলে যাওয়া কথাকে কাজে পরিণত করতে হবে।

 

আপনি সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো সংবাদ
    © ২০২৪ বুড়িগঙ্গা টিভি কর্তৃক সর্বসত্ব সংরক্ষিত।
 
Theme Customized By BreakingNews