নিজস্ব সংবাদদাতাঃ
ঢাকার দক্ষিন কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে খাসির মাংস বলে কুকুরের মাংস বিক্রি করার দায়ে একজনকে আটক করে এলাকাবাসী। পরে গনধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে । মঙ্গলবার রাতে এঘটনা ঘটে।
আটককৃত ব্যক্তি হলো মোঃ সুরুজ মিয়া (৩২) । দক্ষিন কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় পরিবারসহ বসবাস করেন। তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও থানায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কুকুরের মাংস বিক্রেতা সুরুজ মিয়া একজন মাদকসেবী। মাদক সেবনের টাকা জোগাড় করতে তিনি প্রায় সময় কুকুর জবাই করে তার মাংস বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করেন।
বুধবার হাসনাবাদে তার পাশের বাসার এক ব্যক্তি সুরুজের সাথে একটি কুকুর নিয়ে যেতে দেখলে জিজ্ঞাসা করে কুকুরটি সে কোথায় নিয়ে যায়।্ জবাবে সুরুজ মিয়া বলে,আমি এটাকে পুষবো। প্রায সয়ম এমন কুকুর নিয়ে যেত সুরুজ মিয়া । এমন সন্দেহ হলে ওই লোকটি কিছুক্ষন পর তার বাসায় যায়্ এবং সুরুজের ঘরের ভেতর থেকে রক্তের চিহ্ন দেখে। সুরুজকে রক্ত সম্পর্কে জানতে চাইলে ওটা খাসির রক্ত বলে জানায়। কুকুরটা কোথায় জানতে চাইলে সে কুকুরটা ছেড়ে দিয়েছে বলে জানায়। এতে ওই ব্যক্তির সন্দেহ আরো বেড়ে যায়।
এসময় সুরুজের বাসার পিছন থেকে ওই কুকুরের মাথা চামড়া ও রক্ত দেখে চিৎকার করলে এলাকাবাসী সুরুজকে আটক করে। উত্তেজিত এলাকাবাসী সুরুজকে গনধোলাই দেয়। পরে কেরানীগঞ্জ থানায় পুলিশে খবর দিলে সুরুজকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, গত মঙ্গলবার সুরুজ মিয়া নামে এক মাদকাসক্তকে জনতার হাত থেকে উদ্ধার করি। পরে জিজ্ঞাসাবাদ করে জেনেছি একটি কুকুর তার হাতে কামড় দিয়েছিলো, পরে রাগে সে কুকুরটিকে জবেহ করে পাশের ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছে। তবে এ নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। আর কেউ যদি এ নিয়ে কোন অভিযোগ করে আমরা মামলা নিতে প্রস্তুত আছি।
Leave a Reply