পরিবহন ধর্মঘটকে পাত্তা না দিয়ে খুলনায় বিএনপির সমাবেশস্থলে জড়ো হয়েছেন বিভাগের বিভিন্ন জেলার দলটির নেতাকর্মীরা। বেশির ভাগ নেতাকর্মী ট্রেনে ও ট্রলারে করে সমাবেশের আগের রাতেই সমাবেশস্থলে হাজির হন।
রাতে উপস্থিত নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলের রাস্তায় আর ফুটপাতে প্লাটিকের বস্তা পাটি পেতে ঘুমিয়েছেন। সকালেও অনেককে সেখানে ঘুমিয়ে থাকতে দেখা গেছে। দলের বিভিন্ন নেতার পক্ষ থেকে সকালের নাস্তা দেওয়া হচ্ছে।
খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশ সামনে রেখে ইতোমধ্যেই সমাবেশস্থলে যেতে শুরু করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশ সামনে রেখে ইতোমধ্যেই সমাবেশস্থলে যেতে শুরু করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। আজ শনিবার ভোর থেকেই নগরীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশ অভিমুখে রওনা হয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা।
পরিবহন ধর্মঘটের কারণে ২১ রুটের সঙ্গে খুলনার বাস চলাচল বন্ধ; চলেনি লঞ্চও। তাই যে যেভাবে পেরেছেন উপস্থিত হয়েছেন খুলনার দলীয় কার্যালয়ের সামনে। নিকট দূরত্বের অধিকাংশই এসেছেন হেঁটে, আর দূরের নেতাকর্মীরা ট্রেনের পাশাপাশি বিভিন্ন ছোট ছোট যানবাহনের মাধ্যমে পৌঁছেছেন সমাবেশস্থলে।
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, আজ শনিবার নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরুর কথা রয়েছে। তবে সকাল ৬টা থেকেই সমাবেশ মঞ্চ থেকে বক্তৃতা চলছে।
আজ সকাল ৬টায় ডাকবাংলো মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, মঞ্চ তৈরির কাজ চলছে। সমাবেশস্থলের প্রায় ৩০০ মিটার এলাকাজুড়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা অবস্থান করছেন। সমাবেশ মঞ্চ থেকে শিববাড়ি মোড় পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে টানানো হয়েছে ১২০টি মাইক। মঞ্চের নিচে বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতারা বক্তব্য রাখছেন।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে সমাবেশস্থলে গিয়ে দেখা যায়, কেউ ঘুমিয়ে আছেন, কেউ সেখানে বসে নাস্তা সারছেন, কেউ কেউ স্লোগান দিচ্ছেন, আবার কেউ ব্যস্ত সেলফি তোলায়।
সমাবেশস্থলে বিভিন্ন নেতার ব্যানারে স্লোগান চলছে। মঞ্চ প্রস্তুতির কাজ জোরেসোরে চলছে। মঞ্চ থেকে প্রচার মাইকে দেশত্মবোধক এবং দলীয় গান বাজানো হচ্ছে। কর্মীদের চাঙ্গা করার জন্য মঞ্চ থেকেই মাঝে মাঝে মাইকে স্লোগান দেওয়া হচ্ছে। ছোট ছোট পিকআপে করে খাবার ও পানীয় সরবরাহ করা হচ্ছে।
Leave a Reply