1. ashiqnur96@gmail.com : editor :
শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
পাঁচ দশকের ব্যবধানে প্রথম কোনো পাকিস্তানি জাহাজ সরাসরি বাংলাদেশে আওয়ামী লীগসহ ২৬টি দলের মতামত না চাওয়ার ব্যাখ্যা দিয়েছেনঃ সংস্কার কমিশন সরকার পরিচালনায় অদক্ষতা সামনে এলে জনগণ তা মেনে নেবে নাঃ তারেক রহমান আজিমপুরে বাসা থেকে অপহৃত আট মাসের সেই শিশু উদ্ধার জুমার নামাজের খুতবার গুরুত্ব কেরানীগঞ্জে দেড় কোটি মুল্যের সরকারি জমি উদ্ধার ক্রীড়া সংগঠক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সাইমন চৌধুরীকে সন্মাননা প্রদান অপহরণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার মামলায় সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র কারাগারে ঢালাও মামলার প্রবণতা বিব্রতকরঃ আইন উপদেষ্টা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলা বাতিল

অনুমোদন পেতে যাচ্ছে রাশিয়ার করোনার টিকা স্পুটনিক

  • সর্বশেষ আপডেট : মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২১
ছবি সংগৃহীত

দেশে অনুমোদন পেতে যাচ্ছে রাশিয়ার করোনার টিকা স্পুটনিক ফাইভ। এছাড়াও আমদানির জন্য আরো তিনটি টিকার সুপারিশ করেছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। টিকা আমদানি হবে জি-টু-জি পদ্ধতিতে।

সারা বিশ্বে ৬০টির বেশি দেশে ব্যবহার হচ্ছে রাশিয়ার করোনা টিকা স্পুটনিক ফাইভ। এ টিকার কার্যকারিতা ৯৭ ভাগ। এখন পর্যন্ত এই টিকা নিয়ে নেতিবাচক কোনো খবরও আসেনি।

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে টিকা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়ায় বিভিন্ন দেশে শুরু হয় যোগাযোগ। এতে ইতিবাচক সাড়া দেয় রাশিয়া। দুই দেশের মধ্যে একটি গোপন চুক্তিও হয়েছে। সব ঠিক থাকলে এটির উৎপাদনও হবে বাংলাদেশেই। এ জন্য তিনটি ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানির টিকা প্লান্টের যে কোনো একটি ব্যবহার করা হবে।

অপরদিকে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুমোদন দিলে এবং যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স ও সুইজারল্যান্ড এই সাত দেশে ব্যবহারের অনুমোদন থাকলে সেসব ওষুধ, টিকা বা চিকিৎসাসামগ্রী বাংলাদেশে অনুমোদন দেওয়া হয়।

মনে করা হয় ওই সব টিকা বৈজ্ঞানিভাবে কার্যকর ও নিরাপদ বলেই এসব ওষুধ ও টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ওই দেশগুলো অনুমোদন দেয়। কিন্তু রাশিয়ার টিকাটি ওই সব দেশ বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন এখনো পায়নি। সে কারণে টিকাটির বিশেষ অনুমোদন দরকার।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর আমদানির ক্ষেত্রে তিনটি টিকার ব্যাপারে সুপারিশ করেছে। টিকাগুলো হচ্ছে স্পুটনিক ফাইভ, মডার্না ও সিনোফার্ম। কোনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নয়, জি-টু-জি পদ্ধতিতে টিকা আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

কমিটি বলছে, তারা নিরাপত্তা, কার্যকারিতা, সংরক্ষণের সুবিধা, দাম ও টিকাদান কর্মসূচিতে ব্যবহারের সক্ষমতা বিবেচনায় চীনের সিনোফার্ম ও রাশিয়ার স্পুতনিক-ভি টিকা দুটি সংগ্রহের প্রাথমিক সুপারিশ করে।

সিনোফার্মের টিকার কার্যকারিতা ৭৯ শতাংশ। এটি চীনের ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ অনুমোদিত এবং বিশ্বের ৩৪টি দেশে ব্যবহার করা হচ্ছে। এর দাম প্রতি ডোজ প্রায় ১৯ থেকে ৪৪ ডলার।

অন্যদিকে স্পুতনিক-ভি টিকার কার্যকারিতা ৯১ দশমিক ৬ শতাংশ উল্লেখ করে কার্যবিবরণীতে বলা হয়, এটি রাশিয়ার ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ অনুমোদিত। বিশ্বের ৬১টি দেশে এ টিকা ব্যবহৃত হচ্ছে। দাম প্রতি ডোজ ১০ থেকে ২০ ডলার। এটিও আমদানি করবে সরকার।

সরকারিভাবে কমিটিকে জানানো হয়েছে, চলতি বছর মে থেকে ডিসেম্বর সময়ে এ টিকার ২ কোটি ৪০ লাখ ডোজ এবং আগামী জানুয়ারি থেকে এপ্রিল সময়ে ৩ কোটি ৬০ লাখ ডোজ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

উল্লেখ্য, দেশে এ পর্যন্ত এক কোটি দুই লাখ ডোজ অক্সফোর্ডের টিকা এসেছে। ৭ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৫৮ লাখ মানুষ। দ্বিতীয় ডোজের ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়েছে ১৪ লাখ।

আপনি সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো সংবাদ
    © ২০২৪ বুড়িগঙ্গা টিভি কর্তৃক সর্বসত্ব সংরক্ষিত।
 
Theme Customized By BreakingNews