নাটোরের সিংড়া উপজেলায় জোড়া খুনের মামলায় পলাতক আসামি মো. ফরিদুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার ভোরে সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানার হাইওয়ের পাটধারী এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
ফরিদুল ইসলাম উপজেলার সুকাশ ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সিংড়া উপজেলার সুকাশ ইউনিয়নের বামিহাল গ্রামে ২০০৩ সালে আফতাব খন্দকারের মা চম্পা বেগম ও শাজাহান আলী নামে দুইজনকে খুন করা হয়। চম্পা বেগম হত্যার প্রায় ২০ বছর পর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আফতাব ও ফরিদুলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আফতাব খন্দকার মারা যান। এ ঘটনার ৯ দিন পরে আজ সকালে ফরিদুলের মরদেহ পাওয়া যায়। এ নিয়ে উপজেলায় ২০ দিনে ৪টি খুনের ঘটনা ঘটেছে।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, দীর্ঘদিন ধরে সিংড়া উপজেলার বামিহাল গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘাত চলে আসছিল। সেখানে একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিতেন ইউপি সদস্য ফরিদুল ইসলাম। প্রায় দুই দশকের বেশি সময় ধরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে প্রায় ১২ জন মারা গেছেন। সম্প্রতি দু’পক্ষের সংঘর্ষে একজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অন্যদিকে আজকে সিরাজগঞ্জ থেকে পাওয়া যায় জোড়া খুনের মামলার পলাতক আসামি ফরিদুল ইসলামের গলা কাটা মরদেহ।
Leave a Reply