কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) : ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ কবরস্থান থেকে ঢাকার কেরানীগঞ্জে মৃত্যুর তিন মাস বারো দিন পর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত আবির হোসেন সানজু নামের এক যুবকের লাশ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রবিবার সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কে,এম রফিকুল ইসলাম (সিনিয়র সহকারী কমিশনার) এর উপস্থিতিতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন হাসনাবাদ আবাসিক এলাকার কবরস্থান থেকে লাশটি তোলা হয়।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ৫ই জুন সানজু বাসা থেকে বের হয়। পরদিন ৬ই জুলাই রাত একটায় অজ্ঞাত নাম্বার থেকে ফোন করে সানজুর পিতা শাহজাহান বাদশাকে জানানো হয় তার ছেলে রোড এক্সিডেন্ট করেছে, মুমূর্ষ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সানজুুকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের সদস্যদের সাথে আলাপ আলোচনা করে বিনা ময়নাতদন্তে লাশ দাফন করে তার পিতা। পরবর্তীতে একটি অডিও কল রেকর্ডে সানজুর পিতার সন্দেহ হয়। এমন সন্দেহে নিহতের আপন বড় চাচা শামসুজ্জামান ও তার তিন ছেলেকে আসামি করে গত ৩০ আগস্ট নিহতের পিতা বাদী হয়ে আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হয়।
নিহতের পিতা শাজাহান বাদশা জানান, আমার একমাত্র ছেলে মারা যাওয়ার পর কোন কিছু না বুঝেই বড় ভাইয়ের কথায় একটি কাগজের সই করে লাশ হাসপাতাল থেকে নিয়ে এসে দাফন করে ফেলি। পরবর্তীতে আমি বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জানতে পারি জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরেই আমার বড় ভাই ও তার তিন ছেলে মিলে পরিকল্পিতভাবে আমার একমাত্র ছেলেকে হত্যা করে রোড এক্সিডেন্টের নাটক সাজিয়েছে। আমি তাদেরকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।
এ ঘটনায় অভিযোগ অস্বীকার করে নিহতের বড় চাচা হাজী শামসুজ্জামান জানান, আমার ছোট ভাই শাজাহান বাদশার কাছ থেকে একটি বাড়ি ক্রয় করেছিলাম সে বাড়ি বুঝিয়ে না আমার বিরুদ্ধে তার ছেলেকে হত্যার অভিযোগ তুলেছে। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষিদের বিচার হোক এটা আমিও চাই।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কে,এম রফিকুল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশে নিহত যুবকের লাশ কবর থেকে উদ্ধার শেষে নমুনা সংগ্রহনের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নমুনা সংগ্রহ শেষে লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
Leave a Reply