বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আগামি ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হচ্ছে। পরিবার আবেদন করলে এই মেয়াদ বাড়বে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সকালে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে বিচারকদের এক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের এ-কথা জানান আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, এর আগেও স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শর্তসাপেক্ষে পাঁচবার তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে গত ২৪ মার্চ সাজা স্থগিতের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আরও ছয় মাসের জন্য সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়। প্রতিবার একই শর্তে তাকে কারাগারের বাইরে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।শর্ত অনুযায়ী, সাজা স্থগিত থাকা অবস্থায় খালেদা জিয়া বিদেশে যেতে পারবেন না।
অনুষ্ঠানে মামলাজটের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন আনিসুল হক বলেন, ‘দেশের আদালতগুলোতে দায়েরকৃত সিভিল মামলার অর্ধেকেরও বেশি ভূমি সম্পর্কিত। অনেক ফৌজদারি মামলার মূলেও রয়েছে ভূমি বিরোধ। এসব মামলার বিচার পাওয়ার জন্য প্রতিদিন লাখ লাখ বিচারপ্রার্থীকে আদালতে ধরনা দিতে হয়। এতে যে কেবল তাদের সময় ও অর্থ অপচয় হচ্ছে তা নয়, মূল্যবান কর্মঘণ্টাও নষ্ট হচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বিচারকগণ এসব বিষয় গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিবেন এবং জনগণকে দ্রুত ন্যায়বিচার প্রদান করে তাদের বিচার পাওয়ার দুর্ভোগ লাঘব করবেন।’
এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিগত প্রায় সাড়ে ১৩ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ঈর্ষণীয় উন্নয়ন ঘটেছে। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার অর্থনীতির শত্রু হিসেবে খ্যাত খেলাপি ঋণ- এর পরিমাণ কমিয়ে আনতে চায়। কারণ ঋণ খেলাপি মামলাজট দেশের অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে আমাদের অবশ্যই ঋণ খেলাপি মামলাজট খুলতে হবে এবং এই মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির মাধ্যমে খেলাপি ঋণ বাড়ার লাগাম টানতে হবে।’
আইন মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সব ধরনের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করা।’
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন মন্ত্রণালয় এবং বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply