কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) : ঢাকার কেরানীগঞ্জের জিনজিরা মান্দাইল জেলেপাড়া এলাকার একটি বাসায় গ্যাসের চুলার লিকেজ থেকে আগুনের ঘটনায় দগ্ধ মোছা. ইদুলী বেগম পান্না (৫০) নামে আরও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় এ নিয়ে চারজনের মৃত্যু হল। সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ নিয়ে এ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল চারজনে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. আইয়ুব জানান, ইদুলী বেগমের শরীরের ৫০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। তিনি নিবিড় পরিচর্চা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। দগ্ধ আরও দু’জন সোনিয়া (২৬) ও ইয়াসিন (১২) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
মৃত ইদুলী বেগম পান্নার স্বামী মোক্তার হোসেন অটোরিকশা চালক। তাদের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুর। তিনি কেরানীগঞ্জে পরিবারসহ ঐ বাসায় ভাড়া বসবাস করতেন।
এর আগে গত ৩০ আগস্ট ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মান্দাইল এলাকার ওই বাসায় গ্যাসের চুলার লিকেজ থেকে আগুনে একই পরিবারের শিশুসহ ছয়জন দগ্ধ হন। পরে তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রথম দিনে দগ্ধ শিশু মারিয়ামের (৮) মৃত্যু হয়। এরপর গত ২সেপ্টেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যালে দগ্ধ সাহাদাত (২০) ও বেগম (৬০) নামে দু’জন মারা যান।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী কর্মকতার্ মেহেদী হাসান জানান, ‘উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগুনে দগ্ধদের বিষয় খোঁজখবর নেয়া হয়েছে। নিহত জনপ্রতি ২৫ হাজার ও আহতদের ১৫ হাজার টাকা করে সহায়তা হিসেবে পরিবারের সদস্যদের কাছে প্রদান করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তের জন্য বাড়ির মালিক ও তিতাস গ্যাস কতৃর্পক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে চুলার গ্যাস বন্ধ না করে ঘুমিয়ে পড়ার পর সকালে চুলায় আগুন জ্বালাতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটরতে পারে বলে প্রতিয়মান হয়েছে।’
Leave a Reply