নতুন মজুরি নির্ধারণের চার ঘণ্টা পর বেঁকে বসেছেন চা-শ্রমিকরা। ১৪৫ টাকা মজুরি বাড়ানোর সমঝোতা না মানার ঘোষণা দিয়েছেন চা শ্রমিকদের একাংশ। কমপক্ষে ৩০০ টাকা দৈনিক মজুরি না দিলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
এর আগে ধর্মঘটের অষ্টম দিনে শনিবার বিকেলে শ্রম অধিদপ্তরের সঙ্গে বৈঠকে বসেন চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা। এসময় সরকারের পক্ষ থেকে ১৪৫ টাকা মজুরির প্রস্তাব দেয়া হলেও তা মেনে নেন চা শ্রমিক নেতারা। রোববার থেকে পুরোদমে কাজে ফিরবেন বলেও ঘোষণা দেন তারা।
তবে এ ঘোষণার কিছুক্ষণ পর সমঝোতা না মানার ঘোষণা দেন চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেণ পাল। তিনি জানান, অন্য চা শ্রমিকরা এ সিদ্ধান্ত মানতে রাজি নন। তারা তিনশো টাকা মজুরির দাবিতে অনড়।
অন্যদিকে বৈঠকের পরপরই শ্রীমঙ্গলে শ্রম দপ্তরের সামনেই বিক্ষোভ করেন স্থানীয় চা শ্রমিকরা। বৈঠকের পর সিলেট মহানগরীর মালনিছড়া, হিলুয়াছড়া ও তারাপুর চা বাগানের শ্রমিকরাও এ সিদ্ধান্তকে বয়কট করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। কয়েক শত চা শ্রমিক বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মালনিছড়া বাগানের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
দুপুরে শ্রীমঙ্গলে বিভাগীয় শ্রম দপ্তরে চা শ্রমিকনেতাদের সঙ্গে বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী ও মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া। অপরদিকে, শ্রমিকনেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেণ পাল ও বিভিন্ন ভ্যালির শীর্ষ নেতারা।
Leave a Reply