পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট কথা ছিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তব্য দেয়ার। যুদ্ধবিধ্বস্ত বংলাদেশকে নতুন করে গড়তে দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দেবেন জাতির পিতা। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে প্রগতিশীল বাংলাদেশ গড়ার যাত্রাকে থমকে দিয়েছিল আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চক্র- বলছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
১৪ আগস্ট রাতে আনন্দে থইথই করছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। দেয়াল লিখন, ব্যানার, ফেস্টুন আর তোরণে ছেয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা। টিএসসি মিলনায়তনে করা হয় মঞ্চসজ্জা। রাত ১২টার মধ্যেই তৈরি হয়ে যায় বঙ্গবন্ধুর হাস্যোজ্জ্বল মুখের ১২ ফুট উঁচু প্রতিকৃতি। টিএসসির মাঠের মাঝখানে করা হয়েছিল এই পোর্ট্রেট।
শেখ কামালের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগোসহ আমন্ত্রণপত্র আগেই পৌঁছে যায় সবার কাছে। যেখানে লেখা ছিল, জাতির জনক মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় চ্যান্সেলর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুভাগমন উপলক্ষে আগামী ১৫ আগস্ট ১৯৭৫, বেলা ১১টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপাচার্য ও সিন্ডিকেটের সদস্যবৃন্দ আপনাকে সাদর আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেদিন নতুন বাংলাদেশ গড়তে বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দেয়ার কথা ছিল।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৪৭-৪৮ সেশনে আইনের ছাত্র ছিলেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের অধিকার আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করায় ছাত্রত্ব বাতিল হয়। বহিস্কৃত হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হয়ে সেদিন আসার কথা ছিল বঙ্গবন্ধুর।
তবে সেই আক্ষেপ ঘোচাতে বঙ্গবন্ধুকে সম্মানসূচক ডক্টরেট দিতে চায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
Leave a Reply