বন্ধ হলো নদীপথে চলা গ্রীন লাইন লঞ্চ। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগে থেকেই আলোচনা ছিল নৌপথে কমবে যাত্রীর চাপ। এ নিয়ে লঞ্চ মালিকদেরও আশঙ্কা ছিল। অবশেষে সেই আশঙ্কাই সত্যি হলো। একটি নৌপথে দিনের বেলায় চলা গ্রীন লাইন লঞ্চের সেবা আপাতত বন্ধ করা হয়েছে। এ নৌপথটি হলো ঢাকা-হিজলা-বরিশাল।
গতকাল সোমবার রাতে গ্রীন লাইনের ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে এ কথা জানিয়েছে লঞ্চটির কর্তৃপক্ষ।
পদ্মা সেতু চালু হওয়ার ঠিক এক মাস পূর্ণের দিনে এই ঘোষণা দেওয়া হলো। গত মাসের ২৫ তারিখ পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হয়। অবশ্য যানবাহন চলাচল শুরু করে তার পর দিন ২৬ জুন থেকে।
গ্রীন লাইনের পোস্টে বলা হয়, ‘হিজলা ও বরিশালের যাত্রীবৃন্দ আপনাদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে আমাদের জাহাজ এমভি গ্রীন লাইন-৩ মঙ্গলবার থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত সার্ভিস বন্ধ থাকবে। অর্থাৎ আমাদের ঢাকা-হিজলা-বরিশালের সার্ভিসটি পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তবে আমাদের ঢাকা-কালীগঞ্জ-ইলিশা রুটের এমভি গ্রীন লাইন-২ নিয়মিত চলাচল করবে।’
এদিকে, ঢাকা থেকে বরিশাল রুটে চালু হওয়া গ্রীন লাইনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসে যাত্রীদের চলাচল করার জন্যও আহ্বান জানানো হয়েছে ফেসবুক পোস্টে।
২০১৩ সাল থেকে দূরপাল্লার যাত্রীদের আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য গ্রীন লাইন পরিবহন স্লিপার কোচের মাধ্যমে যাত্রীসেবা শুরু হয়। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কথা বিবেচনা করে ২০১৪ সাল থেকে গ্রীন লাইন নৌপথে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সি সার্ভে ক্লাস্ড এয়ার কন্ডিশন্ড ফাইভার ক্যাটামেরান প্যাসেঞ্জার ভেসেল এমভি গ্রীন লাইন-১ টেকনাফ-সেন্টমার্টিনস নৌপথে যাত্রীসেবা দিয়ে যাচ্ছে।
২০১৫ সালে ৬০০ আসন বিশিষ্ট অপর দুটি এয়ার কন্ডিশন্ড ক্যাটামেরান প্যাসেঞ্জার ভেসেল এমভি গ্রীন লাইন-২ ও এমভি গ্রীন লাইন-৩ ঢাকা-বরিশাল রুটে যাত্রীসেবায় যোগ হয়। ঢাকা-বরিশাল রুটে দিনের এই সার্ভিসটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল।
তবে আরামদায়ক ও স্বল্প সময়ের জনপ্রিয় এই সার্ভিসটি আদৌ যাত্রিসেবায় যুক্ত হবে কিনা তার কোনো নিশ্চিয়তা দিতে পারেনি হিজলা ঘাটের টিকিট মাস্টার মো. পারভেজ রাড়ী।
Leave a Reply