যশোরের অভয়নগর উপজেলায় দুই সন্তান ও মায়ের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার রাত পৌনে নয়টার সময় উপজেলার চাপাতলা নগরঘাটের একটি ঘাসবাগান থেকে লাশ তিনটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জহিরুল ইসলাম বাবু (৩২) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আটক জহিরুল ইসলাম যশোর সদর উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের বাসিন্দা।
নিহতরা হলেন স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন (২৭), তার মেয়ে সুমাইয়া খাতুন (১০) ও সাফিয়া (২)। আটক জহিরুল ইসলাম নিহত সাবিনা ইয়াসমিনের স্বামী।
নিহত সাবিনা ইয়াসমিন বিথির বাবা মুজিবর রহমান বলেন, ‘গত একমাস আগে আমার মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিন ও তার দুই সন্তানকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসে। আজ জহিরুল ইসলাম আমার মেয়ে ও তার দুই সন্তানকে নিয়ে নিজের বাড়ী ফিরে যান। এরপর জহিরুলের বাবা বিকাল ৫ টায় ফোন করে বলে আমার ছেলেকে আটক করে পুলিশে দিয়েছি আপনারা চলে আসেন। পরে জানতে পারি, আমার মেয়ে ও তার দুই মেয়ে সন্তানকে জহিরুল খুন করেছে।’
তিনি আরও জানান, ‘প্রায় ১২ বছর আগে যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের মুজিবর রহমানের ছেলে জহিরুল ইসলাম বাবুর সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেতেই থাকতো। গতকাল শুক্রবারও আমার বাড়িতেও তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়।’
একটি সূত্র জানায় , জহিরুল ইসলাম বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার চাপাতলা নগরঘাটের একটি ঘাসবাগানের পাশে তার স্ত্রী ও তার দুই মেয়েকে গলা টিপে ও গলায় গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে ঘটনাস্থলে লাশ ফেলে বাড়ি চলে যায়। বাড়িতে গেলে তার পরিবারের লোকজনের তার গতিবিধি দেখে সন্দেহ হয়। তারা তাকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশের প্রাথমিক জিঞ্জাসাবাদে জহিরুল হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ তিনটি উদ্ধার করে।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম শামীম হাসান বলেন, স্বামী জহিরুল ইসলাম স্ত্রী ও তার দুই মেয়েকে হত্যা করেছে বলে শুনেছি। নিহত তিনজনের লাশ উপজেলার চাপাতলা নগরঘাটের একটি ঘাসবন থেকে উদ্ধার করা হয়। এ হত্যা কেনো ঘটানো হয়েছে তদন্ত না করে বলতে পারছি না।
Leave a Reply