আজ ঈদের দ্বিতীয় দিনেও ঢাকার অনেক এলাকায় পশু কোরবানি করা হয়েছে। পুরান ঢাকায় সংখ্যাটা বেশি হলেও রাজধানীর অন্যান্য এলাকায়ও দেখা গেছে কোরবানির ব্যস্ততা। মূলত পেশাদার কসাইয়ের সংকটসহ ঈদের দিন একটু ঝামেলা এড়াতেই অনেকে আজ পশু কোরবানি দিচ্ছেন। যারা কোরবানি দিচ্ছেন তারা জানান, দ্বিতীয় দিন হলেও কোরবানির আমেজ ঈদের দিনের মতোই।
এদিকে আজ কোরবানির সংখ্যা কম হওয়ায় অল্প সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করে বর্জ্য অপসারণ করে নিচ্ছেন কোরবানিদাতারা। ঘোষিত সময় ১২ ঘণ্টার মধ্যেই কোরবানির পশুর সব বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে দাবি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।
ডিএনসিসি জানায়, রাত ১২ টার মধ্যে উত্তর ঢাকার সব অলি-গলি এবং রাস্তা থেকে শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। আমিন বাজার ল্যান্ডফিল্ডে ফেলা হয়েছে ৮ হাজার টন বর্জ্য। দ্রুত বর্জ্য অপসারণ করায় সন্তোষ প্রকাশ করছে নগরবাসী। রাজধানীর দুই সিটি থেকে কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ঈদের দিন দুপুর থেকেই কাজ শুরু করেন পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা।
রোববার রাতের মধ্যেই দুই সিটির ৯০ শতাংশের বেশি বর্জ্য অপসারণের তথ্য দেন উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা। প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার টন কোরবানির বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে কাজ করছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। দুই মেয়রের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে মাঠে কাজ করছে ২০ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী।
এরই মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনেই ৯০ শতাংশ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ।
সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি করতে আগ্রহ দেখা যায়নি নগরবাসীর। এতে রাজধানীর বিভিন্ন অলিগলিতে দেখা যায় বর্জ্য ছড়িয়ে থাকতে। তবে তৎপর ছিল দুই সিটির পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। বাসা-বাড়ি অলিগলি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে নিয়ে যান ডাম্পিং স্টেশনে। সেখান থেকে ট্রাক ভর্তি করে ফেলা হয় ভাগাড়ে।
মিরপুরে কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে উত্তরের মেয়র জানান, এবার ১৩ লাখ পশু কোরবানিতে ১০ হাজার টন বর্জ্য তৈরি হয়েছে। প্রতিশ্রুত সময়ের মধ্যেই হবে অপসারণ। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বর্জ্যের লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ছয় হাজার টন। কন্ট্রোলরুম থেকে কর্মীদের নির্দেশনা দেন মেয়র তাপস। রাজধানীতে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে এবার দুই সিটি কর্পোরেশনের ২০ হাজার কর্মী মাঠে রয়েছে। এবার সন্ধ্যার মধ্যেই সরিয়ে ফেলা হয়েছে বেশিরভাগ বর্জ্য। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঈদের রাতের মধ্যেই বেশিরভাগ সিটি করপোরেশনে কোরবারির বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। পানি দিয়ে পরিষ্কার করার পর ছিটিয়ে দেয়া হয়েছে ব্লিচিং পাউডার।
চট্টগ্রামে চলছে কোরবানী বর্জ্য অপসারণের দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম। সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে বর্জ্য অপসারণ শুরু করেছে পরিছন্নতাকর্মীরা। এছাড়া ঈদের পরবর্তী দুই দিন যারা পশু কোরবানি দেবেন তা দ্রুত সময়ের পরিস্কার করতে তদারকি করেন ১১০ জন কর্মকর্তা।
রাজশাহীতে কোরবানি দেয়া হয়েছে এসব সব জায়গায় ছিটানো হয়েছে ব্লিচিং পাউডার। ঈদের দ্বিতীয় দিন যারা পশু কোরবানি দিচ্ছেন সেসব বর্জ্য দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিস্কার করতে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা বিভাগ।
এদিকে খুলনায় অপসারণ করা হয়েছে ২ হাজার মেট্রিকটন বর্জ্য। এছাড়া, বরিশাল, সিলেট ও রংপুরে বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।
Leave a Reply