সিলেটে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় পানিবন্দি লাখ লাখ মানুষ। খাদ্য ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অভাবে অনেকে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। সিলেটবাসীর এই দুর্যোগে সরকারের পাশাপাশি বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। শুরু থেকেই সিলেটবাসীর পাশে দাঁড়ায় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি সন্জিত চন্দ্র দাস, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ডাকসুর সাবেক স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের বিজ্ঞান বিষয়ক উপ-সম্পাদক সবুর খান কলিন্স, ঢাবি ফজলুল হক হল ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈমসহ প্রায় ৩০জনের একটি টিম ১৯ জুন থেকে সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট, কোম্পানিগঞ্জ , বিশ্বনাথ উপজেলায় বন্যার পানিতে ঘরবন্দি ২০০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছে।
ত্রাণ সামগ্রীর প্রতি প্যাকেটে রয়েছে ৬ কেজি চাল, ১ কেজি চিড়া, আধা কেজি প্যাকেট মুড়ি, দেড় লিটার মাম পানি, দুটি কেক, ওর স্যালাইনের প্যাকেট, মোমবাতি, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট।
এই টিমের অন্যতম উদ্যোক্তা সাদ বিন কাদের চৌধুরী বলেন, ‘দেশের প্রতিটি দুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে থাকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা । করোনা থেকে শুরু করে সকল দুর্যোগে আমরা বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। আশা করি আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার মাধ্যমে কিছুটা হলেও বন্যার্ত মানুষের কষ্ট লাগব হবে।’
সিলেটের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে নৌকাযোগে বৃষ্টিতে ভিজে বন্যার্তদের মধ্যে উপহারসামগ্রী বিতরণ করেছেন টিমের সদস্যরা।
ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম সম্পর্কে সবুর খান কলিন্স বলেন, ‘ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে দেশের জনগণের যেকোন দুর্যোগে তাদের পাশে দাঁড়ানো নিজেদের নৈতিক কর্তব্য হিসেবে মনে করি। তাই মানবিক দায়িত্ব থেকে সিলেট অঞ্চলের দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।’
ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত নেতৃবৃন্দ জানান, বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত তাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এ বিষয়ে ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি সন্জিত চন্দ্র দাস জানান, ‘যতদিন প্রত্যেকটি মানুষ স্বাভাবিক জীবনে না ফিরবে, ততদিন মানবতার জননী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মীরা ঘরে ফিরবে না। প্রথম দিনে এক হাজার ও দ্বিতীয় দিনে আরও এক হাজার পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। এ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’
Leave a Reply