পানিতে রাস্তা-ঘাট, দোকানপাটসহ সবকিছু তলিয়ে গেছে, আমাদের থাকার জায়গাটুকু পর্যন্ত নেই। পানি সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। গরু-বাছুর নিয়ে খুব বিপদের মধ্যে আছি। হঠাৎ করে নদীর পানি বেড়ে আমাদের সবকিছু নিয়ে গেছে।’
কথাগুলো বলছিলেন নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার গাওকাঁন্দি ইউনিয়নের বন্দ উষান গ্রামের জয়নাল আবেদিন।
একই ধরনের কথা বলেন জেলার কলমাকান্দার কৈলাটী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাফানীয় গ্রামের হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। থেমে থেমে বৃষ্টি ও শুক্রবার ভোরে ভারি বৃষ্টির কারণে নদীর পানি বেড়ে যায়। আমার ইউনিয়নের হাফানিয়া, বড়পাড়ুয়া, মন্ডলেরগাতী, কৈলাটীসহ আশপাশের সব গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। আমরা এখন খুব বিপদের মধ্যে আছি। বাড়ির উঠানে এখন হাঁটু পানি। চলাচলের কোনো উপায় নেই। মানুষের থাকার মতো জায়গা নেই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টানা বর্ষণ ও উজান থেকে আসা পানি ভোর থেকেই পৌর শহরের চরমোক্তার পাড়া, মুজিবনগর আবাসন, দক্ষিণপাড়া আবাসন, চকলেঙ্গুরা ও শিবগঞ্জ বাজারে প্রবেশ করতে শুরু করে। কিছু কিছু এলাকায় বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় শহরের দোকানপাট প্রায়ই বন্ধ হয়ে যায়। চরম ঝুঁকিতে রয়েছে বিরিশিরি ও দক্ষিণ ভবানীপুর এলাকার নিন্মাঞ্চলগুলো।
নতলা গ্রামের মানিক সরকার বলেন, উপজেলার আটটি ইউনিয়নের ৩৪৩টি গ্রামের বেশিরভাগ বাড়ি ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। উপজেলা পরিষদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পুকুর, ফিসারি সব পানির নিচে। ৭৪ ও ৮৮ সালের বন্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে এবারের বন্যা। গরু-বাছুর নিয়া আমরা খুব বিপদের মধ্যে আছি। আমাদের উপজেলাকে সরকারের দুর্গত এলাকা ঘোষণা করা দরকার।
সদর উপজেলার বাঘরুয়া গ্রামের কৃষক শাহ আবুল খায়ের বলেন, বাড়িঘর, সড়ক পানির নিচে। চলাচল করার মতো রাস্তা নেই।
/আমাদেরসময় পত্রিকা থেকে নেয়া
Leave a Reply