সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সাবওয়ে ট্রাভেলস এন্ড ট্রাভেলস এন্ড হজ্ব এজেন্সীর জালিয়াতিতে হজ্বে যেতে পারছেন না সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরের মো: কামাল হোসেন। এমন অভিযোগ এনে শনিবার সকালে নিজ বাসভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে বর্ণনা করেন জালিয়াতির পুরো ঘটনা।
মো: কামাল হোসেন জানান, ২০২২ সালের হজ্ব পালনের জন্য ২০১৯ সালে ঢাকার মোহাম্মাদপুরের সাবওয়ে ট্রাভলেস এজেন্সী, যার হজ্ব লাইসেন্স নম্বর ১২৩৩ এর মাধ্যমে প্রাক-নিবন্ধন করেন। এ সময় তিনি কোম্পানীর বৈধ প্রতিনিধি মোহাম্মাদ আলী জোয়ারদারের মাধ্যমে নগদ ত্রিশ হাজার টাকা দেন। যার বৈধ রশিদও তিনি পেয়েছেন। এরপর ব্যাংকের মাধ্যমে আরো একলক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়ে নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ করেন। পরবর্তীতে চলতি বছরে ব্যাংকের মাথ্যমে তিন লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা জমা দেয়। কিন্তু চলতি মাসের ১২ তারিখে তিনি জানতে পারেন তার হজ্ব নিবন্ধন বাতিল করেছে সাবওয়ে হজ্ব এজেন্সী। তবে এর আগে মোহাম্মাদ আলী জোয়ারদার তাকে করোনার টিকা সহ সিভিল সার্জন অফিস থেকে মেডিকেল শেষ করার জন্য নির্দেশনা দেন। এরপর হজ্বে যাবার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নিতে বলেন। কামাল হোসেন এহরামের কাপড় কেনা সহ যাবতীয় কাজ শেষ করলে জানতে পারেন মোহাম্মাদ আলী জোয়ারদার তাকে রেখে অন্য একজনকে সাথে সৌদী আরবের উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছেন।
তিনি মোবাইলে যোগাযোগ করলে জোয়ারদার জানান, তার ছেলে আবির তাকে নিয়ে সৌদী আরব আসবে। এরপর তিনি ঢাকায় যোগাযোগ করে ধর্ম মন্ত্রনালয়ের সচিব বরাবর অভিযোগ করেন। একই সাথে হজ্ব অফিস ও হাবেও বিষয়টি জানান। তবে এখনো কোন অফিস কোন রকম পদক্ষেপ না নেওয়ায় তিনি হতাশায় ভূগছেন। তিনি দ্রুত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় সহ প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আর্কষণ করেছেন, যাতে হজ্বযাত্রী কারো সঙ্গে এমন প্রতারনা করার সুযোগ আর অন্য কেউ না পায়।
মোহাম্মাদ আলী জোয়ারদারের ছেলে আবির জানান, ভূলবসত তার নিবন্ধনটি বাতিল হয়েছে।
স্থানীয় ইব্রাহীম হোসেন, তানভির মন্ডল জানান, এর আগে আমারা হজ্বে যাবার জন্য টাকা জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের সাথেও জোয়ারদার আলী প্রতারনা করেছেন।
তবে সাবওয়ে ট্রাভলস এজেন্সী কর্তৃপক্ষের কাউকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply