ইউরোপসেরা ইতালিকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মত কনমেবল উয়েফা কাপ অফ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ফিনালিসিমা ঘরে তুলল আর্জেন্টিনা। মানচিনির শিষ্যদের ৩-০ গোলে হারিয়ে বছরের দ্বিতীয় শিরোপা জিতল আলবিসেলেস্তেরা। দুর্দান্ত পারফরমেন্সে ম্যাচ সেরা আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি।
আর্জেন্টাইন এই তারকা ম্যাচ শেষে এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, প্রতিপক্ষকে না ভেবে নিজেদের সেরা খেলাটাই দেয়ার চেষ্টা করেছি। বিশ্বকাপের আগে ইতালির বিপক্ষে ট্রফি জিতে ভালো প্রস্তুতি হয়েছে। ইউরোপ সেরাদের বিপক্ষে জিতলেও আমাদের মূল পরীক্ষা কাতার বিশ্বকাপ। আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ এগিয়ে যেতে চাই ইউরোপ-আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই, কোপা আমেরিকার পর বছরের দ্বিতীয় শিরোপা উদযাপন যেন ছাড়িয়ে গেল সবকিছুকে। লিওনেল মেসিকে নিয়ে সতীর্থদের উল্লাস, ট্রফি হাতে স্কালোনির শিষ্যরা যেন আগাম বার্তা দিয়ে রাখলেন কাতার বিশ্বকাপের।
লন্ডনের ওয়েম্বেলি স্টেডিয়ামে আর্জেন্টাইন দর্শকদের উপস্থিতি মন কেড়েছে লিওনেল স্কালোনির। শুরু থেকেই মেসি-ডি মারিয়াদের আক্রমণে দিশেহারা ইতালি। জর্জো কিয়েল্লিনিসহ ইউরো চ্যাম্পিয়নদের দুর্গ ভেঙ্গে এলএমটেনের দুর্দান্ত এক অ্যাসিস্টে, লাউতারো মার্টিনেজের ফিনিশিংয়ে লিড আলবিসেলেস্তেদের।
বিরতির আগে, কোপা আমেরিকা জয়ের নায়ক আনহেল ডিমারিয়ার গোলে ব্যবধান দ্বিগুন করলে উল্লাসে ভাসে পুরো স্টেডিয়াম।
দ্বিতীয়ার্ধে আরও আক্রমণাত্মক কোপা চ্যাম্পিয়নরা। ৬৯তম মিনিটে আরও একবার মেসিকে হতাশ করেন দোন্নারুম্মা। সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ীর জোরাল শট ডানদিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক। পরের ১০ মিনিটে আরও দুটি শট নেন মেসি, কিন্তু মেলেনি তার গোলের দেখা।
কিন্তু অতিরিক্ত সময়ে আর মেসিদের ধরে রাখতে পারেনি ইটালি। আর্জেন্টাইন অধিনায়কের অ্যাসিস্টেই জয়ষূচক গোলটি করেন পাওলো দিবালা।
আর্জেন্টিনার ফরোয়ার্ড আনহেল ডি মারিয়া বলেন, আমরা সাউথ আমেরিকার জাতীয় দলগুলোর সাথে লড়াই করে শিরোপা জিতেছি, এবার ইউরোপ সেরাদের বিপক্ষে জিতেছি, যেটা আমাদের খুবই প্রয়োজন ছিল।
সবশেষ ৪টি বিশ্বকাপের শিরোপাই ইউরোপের দখলে। তবে, এবার সেই রাজত্ব কেড়ে লাতিন আমেরিকার জয়জয়কার। সবমিলিয়ে টানা ৩১ ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ডও এখন লিওনেল স্কালোনির দখল।
এরআগে, ১৯৯৩ সালে ডেনমার্কের সাথে পেনাল্টি শ্যুটআউটে প্রথমবারের মত দুই মহাদেশের লড়াই জিতেছিল লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা।
Leave a Reply