ঢাকার কেরানীগঞ্জের হযরতপুর এলাকায় চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বাবু মিয়া নামের এক সেনা স্টাফকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কার্পেন্টার (সি) পদে কর্মরত আছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার কানারচর এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। পরিবারের অভিযোগ বাবু মিয়া এলাকায় জমির ব্যবসা করেন। এতে ঐ এলাকার মিন্টু বাহিনীর লোকজন ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। সে চাদা না দিয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করায় ক্ষিপ্ত হয়ে পুনরায় তার বাড়ীতে মিন্টু বাহিনীর একটি সন্ত্রাসী দল লুটপাট ও সন্ত্রাসী হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন।
এতে বাবু মিয়া (৪০) ও শুক্কুর আলী(৬০) গুরুতর সহ ৬জন আহত হন। অন্য আহতরা হলেন বাবুর মা আনোয়ারা, স্ত্রী সুলতানা,মেয়ে জেরিন ও চাচাত বোন মেহেরুন।
আহতদেরকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেন।
বাবু মিয়ার মামা আলামিয়া(৬৫) জানান, বাবুর জমিতে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে মিন্টু বাহিনীর লোক জন। চাঁদা না দিলে প্রানে মেরে ফেলার হমকি দেয়। পরে চাঁদা না দিয়ে বাবুমিয়া মিন্টু বাহিনীর বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় অভিযোগ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মিন্টু ও তার বাহিনীর সদস্য আনোয়ার আলী,এসাদুল,আলম, দুই জাহাঙ্গীর, লিটন,মুক্তার,খোকন,জলিল,সাদ্দাম, আলামিন সহ গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর বাবুর বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে বাবুমিয়াকে মারধর করে ও তার কাছে থাকা জমি বিক্রির সাড়ে চার লাখ টাকা ছিনিয়ে করে নেয়।
বাবুমিয়ার স্ত্রী সুলতানা বেগম জানান, মিন্টুর সন্ত্রাসীরা আমার স্বামীকে রাস্তায় মারধর করতে থাকে এসময় সে দৌড়ে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেয়। সন্ত্রাসীরা দরজা ভেঙে প্রবেশ করে আলমিরা ও সোকেস ভেঙে সেখানে থাকা ৮ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে নেয়। আমার স্বামীকে জোরকরে ধরে বাড়ির পাশে ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে বেধরক মারতে থাকে। আমি ও আমার শাশুড়ী এবং চাচাত ননদ তাকে বাঁচাতে গেলে আমাদেরকেও সন্ত্রাসীরা মারতে থাকে। তার মাথায় রড দিয়ে সজোরে আঘাত করে এতে সে মাটিতে পরে যায়। পরে গলায় ধারলো ছুরি দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করলে সে তার হাত দিয়ে প্রতিহত করে। এতে তার বা হতের তালুতে গুরুতর জখম হয়। আমাদের চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এলে সন্ত্রাসীরা টাকা পয়সা ও স্বণালংকার নিয়ে সটকে পরে। যাবার সময় তারা বাড়ির সামনে সার ও কীটনাষকের দোকানের তালা ভেঙে নগদ টাকা লুটে নেয়।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ছালাম মিয়া জানান, হযরতপুরের কানারচর এলাকায় হামলা ও মারধরের খবর জানতে পেরেছি। বিষয়টি তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply