দেশে একজন পুরুষের তুলনায় একজন নারী ঘরে বেশী কাজ করেন। ঘরের কাজে প্রতি সপ্তাহে পুরুষের চেয়ে ১৯ ঘন্টা বেশি কাজ করেন একজন নারী। সপ্তাহে একজন পুরুষ সবোর্চ্চ ১২ ঘন্টা ঘরের কাজ ব্যয় করলেও নারী ব্যয় করছেন ৩১ ঘন্টা এ তথ্য দিচ্ছে গবেষণা সংস্থা সিপিডি।
ঘরের কাজের কারণে অনেক নারীই অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারছেন না। রান্নাসহ ঘরের বেতনহীন কাজের বোঝা নারীদেকে বেশি টানতে হচ্ছে।
সফল নারীরা বলছেন, কর্মক্ষেত্রেও তাদের বেশি কাজ করতে হয়। আত্মনির্ভরশীল হয়ে অর্থনীতিতে আরো বেশি অবদান রাখার জন্য প্রযুক্তিতে নারীদের দক্ষতা বাড়ানোর পরামর্শ তাদের।
গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ সিপিডির তথ্য মতে, সিলেটে ও রংপুরে পুরুষের তুলনায় নারীরা সপ্তাহে ১৯ ঘন্টা বেশি কাজ করেন। রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও রাজশাহীতে সপ্তাহে পুরুষের তুলনায় ১৮ ঘন্টা ও বরিশালে ১৫ ঘন্টার বেশি কাজ করেন নারীরা।
বেতনহীন ঘরের কাজের পাশাপাশি অর্থনীতেও অবদান রাখার পরামর্শ দিয়েছেন দেশের সফল নারীরা। এক্ষেত্রে তাদের লক্ষ্য নির্ধারণ অত্যান্ত প্রয়োজন।
বার্জার পেইন্ট বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুপালী চৌধুরী জানান, শত বাধা পেরিয়ে নারীদের আত্মনির্ভশীল হয়ে অর্থনীতিতে অবদান রাখতে হবে। একই সাথে অর্থনীতির উন্নয়নে নারীদের প্রযুক্তি শিক্ষার ওপরও জোর দেয়ার কথা বলেন তিনি।
এদিকে বৈষম্য কমাতে নারীদের পরনির্ভশীলতা কমানো প্রয়োজন বলে মনে করেন বিজিএমইএ এর সাবেক সভাপতি রুবানা হক।
নিজেদের প্রমাণ করতে কর্মক্ষেত্রে এখনো পুরুষের তুলনায় নারীদের বেশি কাজ করতে হয় বলে জানান তারা।
নারীদের অর্থনীতির মূলধারায় আনতে হবে। অর্ধেক জনশক্তিকে কাজে লাগাতে না পারলে আমরা জনমিতির সুবিধা নিতে পারব না। তাই নারীর জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির পাশাপাশি যাতায়াত, শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন অবকাঠামো সুবিধা তৈরি করতে হবে। এ ছাড়া ঘরের কাজে পুরুষের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে।
Leave a Reply