পদ্মা সেতু ও শেখ রাসেল সেনানিবাস দক্ষিণাঞ্চলের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মাসেতু চালু হলে দেশের জিডিপিতে আরো এক থেকে দুই ভাগ প্রবৃদ্ধি যোগ হবে বলে আশা করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মাসেতুর নিরাপত্তা নিশ্চিতে শেখ রাসেল সেনানিবাসের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নিরাপত্তার জন্য মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে স্থাপিত হলো শেখ রাসেল সেনানিবাস। গণভবন থেকে শরিয়তপুরের জাজিরায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে শেখ রাসেল সেনানিবাসের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে উদ্বোধন ফলক উন্মোচন করেন।
শেখ রাসেলের নামে সেনানিবাস করায় সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানান বঙ্গবন্ধুকন্যা এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মাসেতু শুধু দেশের দক্ষিণাঞ্চল নয়, সারাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। বিশ্বব্যাংকের বাধার পর অনেকেই ভেবেছিল পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব হবে না, কিন্তু এটি আজ বাস্তব।
সেতু চালু হলে বাংলাদেশ উন্নয়নের দিকে আরো এগিয়ে যাবে বলেও প্রত্যয় জানান প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিকায়নে সরকারের নানা পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ করো সাথে যুদ্ধ করতে চায় না। তবে বহি:শত্রুর আক্রমণ হলে যেন প্রতিরোধ করে সার্বভোমত্ব নিশ্চিত করা যায়, সেজন্য সবসময় প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
২৩৫ একর জায়গায় পদ্মা সেতুর দুই প্রান্ত মাওয়া ও জাজিরায় শেখ রাসেল সেনানিবাস নির্মিত হয়েছে। সেনানিবাসটি এ অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থান ও জীবন-মানের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলেও আশা জানান প্রধানমন্ত্রী। পরে প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় সালাম দেন চৌকস সেনাসদস্যরা।
Leave a Reply