আগামীকাল আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে দু দল। ম্যাচটি মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম শুরু হবে আগামীকাল বিকাল ৩টায়। ওয়ানডে সিরিজের তিন ম্যাচের একটিতে হারলেও টি-টোয়েন্টিতে দুই ম্যাচই জিততে চায় টাইগাররা।
প্রস্তুতির কোনো ঘাটতি রাখছে না মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। তবে ২০ ওভারের ম্যাচে বেশ শক্তিশালী আফগানিস্তান। র্যাঙ্কিংয়েও বাংলাদেশের চেয়ে একধাপ এগিয়ে রশিদ খানরা। তবে ঘরের মাঠে টাইগাররা শক্তিশালী, এ বিষয়টি মাথায় রেখেই মাঠে নামবে আফগানরা।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আফগানিস্তান। আফগানদের বোলিং আক্রমণ আর ব্যাটিংয়ের ধাচ এই ফরম্যাটের জন্য মানানসই। বিপরীতে টাইগাররা এখনো শিখছে টি-টোয়েন্টির মন্ত্র। হেড টু হেড আর পরিসংখ্যান রাশিদ-নাবিদের পক্ষে। এবার ব্যবধান কমানোর সুযোগ মাহমুদউল্লাহদের সামনে।
টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তান জায়ান্ট কিলার, টাইগারদের জন্য ভয়ঙ্কর প্রতিপক্ষ। দেরাদুনে ওদের কাছে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এখনো তাড়িয়ে বেড়ায়। সেবার রাশিদের স্পিনে কেঁপেছিলো টাইগাররা।
কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে হেড টু হেডে আফগানরাই এগিয়ে, ছয় মুখোমুখিতে চার জয় ওদের, বাংলাদেশ জিতেছে ২ ম্যাচ। দুদলের সবশেষ দেখায় অবশ্য বাংলাদেশ জয়ী, খেলা ছিলো চট্টগ্রামে।
মিরপুর শেরে-বাংলা স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছে দুইবার। ২০১৪ বিশ্বকাপে আফগানিস্তানকে উড়িয়ে দিয়েছিলো সাকিবরা, ওদের ৭২ রানে গুটিয়ে ৯ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ। ২০১৯-এ পরের দেখায় প্রতিশোধ তুলেছে আফগানরা, সেবার বাংলাদেশ ম্যাচ হেরেছিল ২৫ রানে।
এই ফরম্যাটে দুদলের পরিসংখ্যানে সর্বোচ্চ রান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। ৫ ইনিংসে প্রায় ২৮ গড়ে তার ১৩৮ রান, স্ট্রাইক রেট ১১৭র কাছে।
অন্যদিকে উইকেটের বিচারে এগিয়ে রাশিদ খান, ৫ ম্যাচে আফগান লেগির ১২ শিকার, ইকোনমি ছয়ের নিচে।
দুই ম্যাচ সিরিজের প্রভাব পড়তে পারে আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ে, বাংলাদেশ দুই-শূন্যতে জিতলে আফগানদের টপকে উঠে আসবে আট নম্বরে। কিন্তু ফলাফল উল্টো হলে দশে নেমে যাবে মাহমুদউল্লাহর দল।
Leave a Reply