ঢাকার কেরানীগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে পুলিশসহ বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। বিএনপির নেতার বাড়ীতে ছাত্রলীগের হামলা। এঘটনাকে কেন্দ্র করে কেরানীগঞ্জ বিএনপির পার্টি অফিসে সংবাদ সম্মেলন করেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি এড নিপুণ রায় চৌধুরী। সংবাদ সম্মেলনের পর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনার প্রতিবাদে স্লোগান দিয়ে জিনজিরা বাস রোড অবরোধ করে। এরপর পুলিশ তাদেরকে সরে যেতে বলে । কিন্তু বিএনপি নেতাকর্মীরা আরো শক্ত অবস্থান নেন।
পরে পুলিশ তাদের উপর লাঠি চার্জ শুরু করে । এরপর পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীরা সংর্ঘষে জড়িয়ে পরে। এতে পুলিশ তাদের উপর লাঠিচার্জ করে এবং বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। প্রায় আধা ঘণ্টা ব্যাপী এই সংঘর্ষ চলে।
https://fb.watch/becJ_X3d-o/
পুলিশ আত্মরক্ষার জন্য বিএনপির উপর লাঠি চার্জ করেন। এই ঘটনায় দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মোজ্জাদ্দেদ আলী বাবু, দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সহ-সভাপতি হাজি ওমর শাহনেওয়াজ, যুবদল নেতা মোক্কারম হোসেন সাজ্জাদ, মো. স্বাধীন ও কৃঞ্চসহ ১০জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী বলেন,গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কোন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুর হোসেন নুরুর বৃদ্ধ মাকে দেখার জন্য তার বাড়িতে যাই। এসময় পরিকল্পিত ভাবে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের নেতৃত্বে বিএনপি নেতা নুরুর বাড়িতে অতর্কিত ভাবে হামলা ও ভাংচুর করে। ছাত্রলীগের হামলায় বিএনপি নেতা নুরুর বৃদ্ধ মা খুরশিদা বেগম, জেসমিন হোসেন, রাবেয়া বেগম, আসমা বেগম ও রুনা আক্তারসহ ১০জন আহত হয়। এই হামলার প্রতিবাদে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির পার্টি অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেন শেষে নেতাকর্মীরা পার্টি অফিসের সামনে মিছিল করা হলে পুলিশ বাধা দেয়। বাধা উপেক্ষা করে মিছিল নিয়ে জিনজিরা মেইন সড়ক হয়ে মডেল থানার দিকে যাওয়ার পথে পুলিশ পুনরায় হামলা চালায়। বিএনপি নেতাকর্মীদের উপড় লাঠি চার্জ করলে এতে কমপক্ষে ১০জন বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
কেরানীগঞ্জ সার্কেলর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবির জানান, কোন প্রকার পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বিএনপির নেতাকর্মীরা জিনজিরা বাস রোডে অবস্থান নিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এ সময় পুলিশ তাদেরকে রাস্তা থেকে উঠাতে চাইলে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরবর্তীতে পুলিশ যথেষ্ট ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে সেখান থেকে নেতা-কর্মীদের সরিয়ে রাস্তা জনগণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে।
Leave a Reply