তদন্তকারী দলের রিপোর্ট অনুসারে, উপত্যকার আবহাওয়ার অপ্রত্যাশিত পরিবর্তনের কারণে হেলিকপ্টারটি মেঘের মধ্যে প্রবেশ করে। আর এর ফলেই পাইলটের বিভ্রান্তি ঘটে এবং হেলিকপ্টারটি ভেঙে পড়ে। হেলিকপ্টারের রেকর্ডার এবং ককপিট ভয়েস রেকর্ডার বিশ্লেষণ করে এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদের পরেই এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে বলেও তদন্তকারী দল জানিয়েছে।
সেসময় রাওয়াতের সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী মধুলিকা এবং অন্যান্য ১২ জন সশস্ত্র সেনা। তাদের নিয়ে তামিলনাড়ুর কোয়ম্বত্তূরের সুলুর এয়ারফোর্স বেস থেকে ওয়েলিংটনের ডিফেন্স স্টাফ সার্ভিসেস কলেজের পথে যাওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় সিডিএস জেনারেল রাওয়াত, তার স্ত্রী এবং আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়। গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিংহ গুরুতর অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেও দুর্ঘটনার এক সপ্তাহ পরে তিনি মারা যান।
এরপর এয়ার মার্শাল মানবেন্দ্র সিংহের নেতৃত্বে দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে ভারতীয় বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। শুক্রবার রিপোর্টটি প্রকাশিত হয়েছে। তবে বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে যান্ত্রিক ব্যর্থতা, নাশকতা বা অবহেলার তত্ত্ব আগেই বাতিল করা হয়েছিল।
Leave a Reply