ঢাকার কেরানীগঞ্জে গাজী শহিদুল্লাহ (৭০) নামের এক বীর মুক্তিযোদ্ধা কে ছুরিকাঘাতে আহত হওয়ার ৪ দিন পর মারা গেছে। মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী শহিদুল্লাহ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার আব্দুল্লাহপুরের করেরগাঁও এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনায় শহীদুল্লাহর ছেলেসহ আরও পাঁচজন আহত হয়।
মঙ্গলবার ভোররাতে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়ার পথে শহীদুল্লাহ গাজীর মৃত্যু হয়।
নিহতের স্বজনরা জানান, কিছুদিন পূর্বে আবদুল্লাপুরের করেরগাঁও এলাকার ইন্টারনেট ব্যবসায়ী শামীম, মমিন ও রিপনের সাথে নিহত শহিদুল্লার এক আত্মীয়র ইন্টারনেট ভাড়া নিয়ে ঝগড়া হয়। এঘটনার সালিশ বৈঠক করেন স্থানীয় লোকজন ও শহীদুল্লাহ গাজী । সে বিচারের রায় ইন্টারনেট ব্যবসায়ীদের বিপক্ষে গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে গত (১৭ ই ডিসেম্বর) শুক্রবার শামীম ও মমিনের নেতৃত্বে কয়েকজন সন্ত্রাসী শহিদুল্লাহ মিয়াকে আবদুল্লাপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একা পেয়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। এসময় তাকে বাঁচাতে গেলে মাসুম, আবিদ, সাইফুল, আসাদুল, আব্দুন নুর এগিয়ে গেলে তাদেরকেও ছুরিকাঘাতে আহত করা হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে বীরমুক্তিযোদ্ধা শহিদুল্লাহকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন ও গুরুতর আহতদের ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করেন।
নিহতের ছেলে মো.মাসুম গাজী জানান, প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাবাকে বাড়ীতে নেয়ার পর আজ (মঙ্গলবার) ভোররাতে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়। আমার বাবাকে যারা হত্যা করেছে তাদের দৃস্টান্তমুলক বিচার দাবী করছি।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানান, ছুরিকাঘাতের ঘটনায় আগেই একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। যেহেতু আজ ছুরিকাঘাতে আহত বীরমুক্তিযোদ্ধা শহীদুল্লাহ মিয়া মারা গিয়েছে তাই আমরা ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি। এ ঘটনায় আগের মামলার এক আসামি গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বাকিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply