নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নানার বাড়িতে বেড়াতে এসে দেয়াল ধসে আবরার নামের নয় মাস বয়সী এক শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
গত রবিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় দক্ষিন কেরানীগঞ্জের আবদুল্লাপুর কলাকান্দি গ্রামে শিশুর নানা সলিমুল্লার বাড়ির ছাদের সুরক্ষা দেয়াল ধসে এ দূর্ঘটনা ঘটে। এতে শিশুটি মারাত্মক আহত হয়।
পরে শিশুটিকে উদ্ধার করে ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল সোমবার ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। তবে আবরারের দাদা আয়নায় আহমেদের দাবী তার নাতিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
জানাগেছে, নিহত শিশুর বাবার নাম মোঃ পারভেজ ও মায়ের নাম সুপ্তি বেগম। আবরারের দাদা বাড়ি ঢাকার দক্ষিন দনিয়ার কুদার বাজার এলাকায়। শিশুর বাবা বিদেশ থাকার কারনে গত তিনমাস ধরে আবরারের মা সুপ্তি বেগমের সাথে নানাবাড়ি কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুরে বসবাস করছিলো।
আবরারের দাদা আয়নাল আহমেদ জানান, আমার ছেলে পারভেজের সাথে দু বছর পূর্বে সুপ্তির বিয়ে হয়। পরে তাদের ঘরে আবরার জন্ম নেয়। এর কিছুদিন পর থেকেই বেশীরভাগ সময় সুপ্তি তার বাবার বাড়ি থাকত চাইতো। আমার ছেলে ৮ মাস আগে কাতার চলে যায়। এর পর থেকে সে তার বাবার বাড়িতেই আছে। আমার ছেলে ও তার বউয়ের সাথে ঝগড়ার কারনে তাদের সম্পর্ক বিচ্ছেদের পর্যায়ে চলে গিয়েছিলো। পরে আগামী ২/৩ দিন পরেই এলাকার কয়েকজনকে নিয়ে মিমাশাং করার কথা ছিলো। এর আগেই ওরা আমার নাতিকে মেরে ফেলল । আমি এই হত্যার সুষ্ঠ বিচার চাই।
নিহত আবরারের চাচাত মামা রবিন জানায়, গত ২১ নভেম্বর রবিবার বিকাল ৫ টার দিকে, আবরারকে নিয়ে ছোট খালা বাড়ির ২য় তলা ছাদে যায়। এসময় আবরারের মা সুপ্তি ঘরে ছিলো। ছাদে উঠে আবরারকে ছাদের আড়াই ফিট উচু বাউন্ডারি করা দেয়ালে বসায়। একটু পরে দেয়ালটি ধসে ইটের নিচে পড়ে যায় শিশু আবরার। সাথে সাথে নিচে এসে খবর দিলে আমরা ওকে দ্রুত উদ্ধার করে, পুরান ঢাকার আলী আজগর হাসপাতালে নিয়ে যাই। ১ দিন থাকার পরে, আজকে দুপুর ১২ টার দিকে আবরার মারা যায়। দেয়ালটি অনেক পুরাতন ছিলো, টেম্পার ছিলো না, তাই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, এ ঘটনায় নিহত শিশুকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ (মিডফোর্ট) মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়। আবরারের দাদী আয়শা বেগম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত শেষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply