(১৩ই নভেম্বর) শনিবার সকাল দশটার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চরকালিগঞ্জ বেবি সাহেবের ডক ইয়ার্ডের বরাবর বুড়িগঙ্গা নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। লাশ উদ্ধারের পর নিহত শিশুর শরীরে বেশকিছু আঘাতের চিহ্ন পরিলক্ষিত হয়।
জানা গেছে, নিহত শিশু মেহেদী হাসানের মা মুক্তা বেগম শুক্রবার বিকালে পার্শ্ববর্তি এলাকা মীরেরবাগ তার বাবার বাড়ি যাওয়ার জন্য প্রস্ততি নিচ্ছিল। এসময় তার শিশু পূত্র বাড়ির পাশে ঘুড়ি ওড়াচ্ছিল। শিশুটিকে মায়ের সাথে নেয়ার জন্য বললে শিশুটি যেতে রাজি না হলে মা একাই তার বাবার বাড়ি যায়। পরে রাতে বাড়িতে এসে তার ছেলেকে ঘরে না পেয়ে খুঁজতে থাকে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও রাতে তার ছেলের কোনো সন্ধান পাননি। শনিবার সকাল নয়টার দিকে বুড়িগঙ্গা নদীতে ছেলের লাশ পাওয়া যায়। মা মুক্তা বেগমের অভিযোগ তার ছেলেকে কেউ হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলেছে। ছেলের মৃত্যুর জন্য মা মুক্তা বেগম প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠ বিচার দাবী জানিয়েছেন।
সদরঘাট নৌ থানা পুলিশের এসআই শহীদ জানান, শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে নদীতে লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করি। পরে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছি। লাশ উদ্ধারের পর নিহত শিশুটির শরীরে বেশকিছু আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তবে কি কারণে শিশুর মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্ত শেষে জানা যাবে। এঘটনায় শিশু মেহেদি হাসান আরদীনের চাচা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।
Leave a Reply