১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট ঘাতকরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকের বুলেট কেড়ে নেয় শেখ কামালের প্রাণ। তবে ছুঁতে পারেনি স্বপ্নকে। বরং গত সাড়ে চার দশকে বাস্তব রূপ পেয়েছে। ক্ষমতার কেন্দ্রে থেকেও ছিলেন খুব সাধারণ, বিনয়ী ও নিরহঙ্কার। বিলাসিতায় নয়, ব্যস্ত থেকেছেন খেলাধুলা, নাটক ও গান-বাজনা নিয়ে। ৬৬, ৬৯ ও একাত্তরের আগুন ঝরা দিনে সংগঠক হিসেবে রেখেছেন বলিষ্ঠ ভূমিকা। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে শেখ কামাল। আজ তার ৭২তম জন্মদিন।
১৯৪৯-এ শেখ মুজিব যখন রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন শেখ কামালেরে বয়স তখন মাত্র ২মাস ১০ দিন। বায়ান্নর সাতাশে ফেব্রুয়ারি যখন মুক্তি পান শিশু কামাল তখন একটু একটু কথা বলতে শিখেছে।
কামালের শৈশবের বেশিরভাগ সময় কেটেছে বাবাকে ছাড়াই। ৫/৬ বছর টুঙ্গিপাড়ায় কাটানোর পর শিক্ষা জীবন শুরু ঢাকায়, সেগুনবাগিচার ডন্স কিন্ডারগার্টেন স্কুলে। ১৯৬৭ সালে শাহীন স্কুল থেকে মেট্রিক পাস করে ভর্তি হন ঢাকা কলেজে। ছায়ানটের সেতার বাদন বিভাগেরও ছাত্র ছিলেন শেখ কামাল।
শেখ কামালের বন্ধু ও সহপাঠী সৈয়দ মো. সামছুল কাউনাইন কুতুব বলেন, ক্রিকেট, ভলিবলের পাশাপাশি নৈপূণ্য দেখান দৌঁড়েও। ফুটবল, হকি, বাস্কেটবল নিয়েও ছিল ব্যাপক আগ্রহ। দেশের ক্রীড়া আর সংস্কৃতিকে বিশ্ব-দরবারে পৌঁছানোর লক্ষ্য ছিল কামালের। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭২ সালে গড়ে তোলেন আবাহনী ক্রীড়াচক্র।
১৯৭১-এ বাংলাদেশ স্বাধীন করার ডাক দিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সে ডাকে সাড়া দিয়ে শেখ কামাল দায়িত্ব নিলেন মুক্তিযুদ্ধে জেনারেল এম এ জি ওসমানীর এনডিসি হিসেবে।
ফিরলেন যুদ্ধ জয় করেই। জাতির পিতা যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে ব্যস্ত, তখন তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। শেখ কামাল চ্যালেঞ্জ নিলেন খেলাধুলা আর দেশের সংস্কৃতি অঙ্গন পুনর্গঠনের। গড়ে তোলেন স্পন্দন শিল্পী গোষ্ঠী। ঢাকা থিয়েটারেরও অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তিনি।
Leave a Reply