দেশে গত ২৪ ঘন্টায় শনাক্ত হয়েছে ৫ হাজার ৭২৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ৮৫ জনের। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার রয়েছে ২০.২৭ শতাংশ। এক দিনে শনাক্ত রোগীর এই সংখ্যা গত আড়াই মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এর আগে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে ১৩ এপ্রিল এক দিনে ৬ হাজার ২৮ জন নতুন রোগী শনাক্তের খবর এসেছিল।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর প্রতিদিনই বাড়ছে শনাক্ত ও মৃত্যু। গতকালের তুলনায় আজ নতুন রোগীর সংখ্যা বেড়েছে নয়শোর বেশি। মঙ্গলবার দেশে ৪ হাজার ৮৪৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ায় কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এসময় আরো ৭৬ জনের মৃত্যু হয়।
আজ ২৩ জুন বুধবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
দেশে এ পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট ৮ লাখ ৬৬ হাজার ৮৭৭ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজার ৭৮৭ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৯১ হাজার ৫৩৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ১৬৮ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ২৮ হাজার ২৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ২৭ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে খুলনা বিভাগে। এরপর ঢাকা বিভাগে ১৯ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭ জন, ময়মনসিংহে ৩ জন, রংপুর ও বরিশালে ১ জন করে ব্যক্তির মৃত্যু হয়। সিলেটে এ সময়ের মধ্যে করোনায় কোনো মৃত্যু হয়নি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বোঝার একটি নির্দেশক হলো রোগী শনাক্তের হার। কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়।
Leave a Reply