করোনা সংক্রমন রোধে সারাদেশে চলমান লকডাউনে ঢাকার সাথে সারাদেশের যোগাযোগ বন্ধে ঢাকার বিভিন্ন প্রবেশদ্বারে কঠোর অবস্থানে পুলিশ।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ঢাকার প্রবেশদ্বার বাবুবাজার ব্রীজ ও পোস্তগোলা ব্রীজের দক্ষিণ প্রান্ত মুখে পুলিশের ঢিলেঢালা ভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। সকাল থেকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেস ওয়েতে দক্ষিণ বাংলার কোন দুর পাল্লার বাস চলাচল করতে দেখা যায়নি।
কেরানীগঞ্জের ঢাকা-মাওয়া সড়কে ধলেশ্বরী(কুচিয়ামোরা) ব্রীজের টোল প্লাজায় হাইওয়ে পুলিশের কঠোর তৎপরতা পরিলক্ষিত হয়। এসময় সেখানে হাসারা হাইওয়ে পুলিশ চেক পোস্ট বসিয়ে পাহারা দেয়। হাইওয়ে পুলিশ পরিদর্শক আফজাল হোসেন জানান, সকাল থেকে আমরা এখানে চেকপোস্ট বসিয়েছি। ঢাকা থেকে দক্ষিণ বাংলার কোন বাস যেনো ঢাকায় প্রবেশ করতে না পারে বা ঢাকা থেকে কোন যাত্রী পরিবহন দক্ষিণ বাংলায় যেতে না পারে। শুধু পন্য পরিবহনকারী ও জরুরী সেবায় ব্যবহৃত পরিবহনকে চলাচল করতে দেয়া হচ্ছে। এদিকে বাস বন্ধ থাকার কারেন ভোগান্তিতে পরেছে যাত্রীরা।
বাস বন্ধ থাকার কারনে বিকল্প পথে গন্তব্যে পৌঁছাতে অনেক যাত্রী অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে সিএনজি নিয়ে মাওয়া ঘাটে যেতে দেখা গেছে। এদিকে বাবুবাজার ব্রীজ পার হওয়ার জন্য সিএনজি পারাপারের জন্য নির্ধারিত ভাড়া দশ টাকা হলেও সেটা বিশ টাকা থেকে ত্রিশ টাকা নেয়ার অভিযোগ করেছে অনেক যাত্রী।
ঢাকা দক্ষিণ ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক পিষুশ কুমার মালো জানান, ঢাকার প্রবেশদ্বার ধলেশ্বরী তুলশীখালী ব্রীজ,বাবুবাজার ব্রীজ ও পোস্তগোলা ব্রীজ এলাকায় আমরা পাহারা বসিয়েছি যেনো কোন যাত্রীবাহী বাস চলাচল করতে না পারে। অপর দিকে বাবুবাজার ব্রীজ পারাপারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয় বলেন, এ ব্যাপারে আমি অবগত নই তবে অতিরিক্ত ভাড়া নিলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এর আগে সোমবার সাত জেলা অবরুদ্ধ থাকার সিদ্ধান্ত জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খোন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান। জেলাগুলো হল- মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জ।
দেশের যে কোনো স্থান থেকে ঢাকায় ঢুকতে হলে মানিকগঞ্জ বা নারায়ণগঞ্জ অথবা মুন্সীগঞ্জ কিংবা গাজীপুর হয়েই আসতে হয়। এর ফলে ৭ জেলায় লকডাউনের ফলে, সারাদেশ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে রাজধানী ঢাকা। বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার সব ধরণের বাস ও লঞ্চ চলাচল। হঠাৎ করে দূরপাল্লার বাস বন্ধ হওয়ায় বিপাকে যাত্রীরা। আগে থেকে টিকিট কেটে রাখা অনেক যাত্রী টার্মিনালে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
Leave a Reply