পরীমনির ঘটনায় গ্রেপ্তার অমি আশকোনায় রিক্রুইটিং এজেন্সি খুলে ওয়ার্ক পারমিটের কথা বলে ৯ বছর ধরে ভ্রমণ ভিসায় লোক পাঠিয়েছেন বিদেশে। সেই রিক্রুটিং এসেন্সিসহ ১৫টি প্রতিষ্ঠান, ৩টি বাড়ি, ৩টি রিসোর্টের খোঁজ মিলেছে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের অনুসন্ধানে। সিআইডি বলছে, অমির বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্তে মানবপাচারের সত্যতা মিলেছে। ২০১২ সালে আশকোনায় রিক্রুটিং এজেন্সি- সিঙ্গাপুর ট্রেনিং সেন্টার খোলেন তুহিন সিদ্দিকী অমি। তবে এখন সেখানে তৈরি পোশাক কারাখানা। এলাকাবাসীর তথ্যে নতুন ঠিকানায় গিয়ে দেখা পাওয়া গেল অমির আরেক প্রতিষ্ঠান জান্নাহ মেডিক্যাল সার্ভিসেসের। আর আশকোনার বাজারের পাশের এক গলিতে আছে সেই ট্রেনিং সেন্টারটি নতুন নাম আইএমএসটি হিউম্যান রিসোর্স লিমিটেড। এ ভবনে আছে অমির আরও ৫টি প্রতিষ্ঠান। এসবের মাধ্যমেই বিদেশে লোক পাঠাতেন তিনি। অমির হলিডে প্ল্যানারস নামে আরও একটি প্রতিষ্ঠান এবং উত্তরা-আশকোনায় দুটি বাড়ি আছে তার। উত্তরার বাসার মতো উত্তরখানের দি ভিলা রিসোর্টে নিয়মিত হতো পার্টি। এর চেয়েও রাজকীয় দুটি রিসোর্ট আছে দুবাই ও মালয়েশিয়ায়।
ডিএমপি গোয়েন্দা উত্তর বিভাগের যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, শুধু ঢাকায় নয়, গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলেও একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি আছে অমির। আছে জেনারেল হাসপাতাল, হোটেল, মার্কেট থেকে শুরু করে মসজিদ-মাদ্রাসা-এতিমখানা। ৫০ বিঘা আবাদি জমির মালিকও তিনি।
অভিযোগ আছে মানবপাচারের টাকায়ই বোট ক্লাবসহ ৫টি ক্লাবের সদস্য হয়েছে অমি। এসব ক্লাবে সঙ্গী নিয়ে নিয়মিতই যেতেন তিনি। তবে এসব অভিযোগ আমলে নিচ্ছেন না তার বাবা।
ঢাকা ও ঢাঙ্গাইলে ১৫টি প্রতিষ্টান, তিনটি বাড়ি ও একটি রিসোর্টের মালিক অমি। দেশের বাইরে রিসোর্ট দুটি। সিআইডি বলছে, অমির সহযোগীদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি অমিকে রিমান্ডে নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
Leave a Reply