বাংলাদেশকে উপহার সরুপ দেয়া ৬ লাখ ডোজ করোনা টিকা ঢাকায় পৌঁছেছে। টিকাগুলো বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর দুইটি বিশেষ বিমানে বহন করে আনা হয়।
আজ রোববার বিকালে সাড়ে পাঁচটার দিকে ভ্যাকসিন বহনকারী বিমান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
টিকাগুলো গ্রহন করার জন্য এসময় বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমএনসিঅ্যান্ডএএইচ অপারেশনাল প্ল্যানের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. শামসুল হক, ইপিআইয়ের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মাওলা বক্স।
ডা. শামসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, এই টিকা দুই থেকে আট ডিগ্রি তাপমাত্রায় রাখতে হয়। এজন্য ইপিআইয়ের কোল্ড স্টোরেজে নিয়ে রাখা হবে।
এসব টিকা কাদের দেওয়া হবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, অগ্রাধিকার তালিকায় মেডিকেল শিক্ষার্থীরা রয়েছেন।
এই মুহূর্তে মেডিকেল, নার্সিং, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আছেন। কিন্তু এরা সংখ্যায় এত বেশি না। এছাড়া বিভিন্ন এক্সপোর্ট জোন, বিশেষ প্রকল্পে যারা কাজ করছেন তারাও আছেন অগ্রাধিকার তালিকায়। অগ্রাধিকার তালিকায় আগে ছিলেন, কিন্তু টিকা পাননি, এমন জনগোষ্ঠীকেও এই টিকা দেওয়া হবে। এই চালানে ৬ লাখ ডোজ টিকা ছাড়াও সিরিঞ্জ, ভেন্টিলেটর, মাস্কসহ আরও কিছু উপহার এসেছে বলে জানান ডা. শামসুল হক।
গত শুক্রবার টিকা আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেন চীনের উপ-রাষ্ট্রদূত হুয়ালং ইয়ান। এর আগে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক ব্রিফিংয়ে চীনের উপহারের টিকা আনতে দুটি সি-১৩০ বিমান পাঠানোর কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন।
এরপরই শনিবার সন্ধ্যায় দ্বিতীয় দফায় চীনের ছয় লাখ টিকা আনতে বেইজিংয়ের উদ্দেশে রওনা হয় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ওই দুই বিশেষ বিমান। আজ বিকেলে এসে পৌঁছালো।
প্রথম দফায় গত ১২ মে চীনের উপহারের পাঁচ লাখ ডোজ টিকা ঢাকায় পৌঁছে। সেসময় সিনোফার্মের এই টিকার পাশাপাশি ওএডি সিরিঞ্জও বাংলাদেশকে দেয় চীন। গত ২৫ মে সে টিকার প্রয়োগ শুরু হয়।
এদিকে সবশেষ চীনের দ্বিতীয় টিকা হিসেবে বাংলাদেশে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পায় সিনোভ্যাক লাইফ সায়েন্সেস কোম্পানির তৈরি করোনা ভ্যাকসিন।
Leave a Reply