শুক্রবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মেজাজ হারানোর ঘটনায় শাস্তি পেতে যাচ্ছেন সাকিব আল হাসান। মাঠে অসদাচরণের দায়ে সাকিবের নামে লেভেল থ্রি ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। ম্যাচ রেফারির রিপোর্ট অনুযায়ী ডিপিএলে চার ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন সাকিব।
গতকাল ১১জুন শুক্রবার আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচে মেজাজ হারিয়ে বসেন মোহামেডান অধিনায়ক। এলবি ডব্লিউর আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দেয়ায়, স্ট্যাম্পে লাথি মারেন সাকিব। এরপর বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ রাখার ঘোষণা এলে, আবারো সাকিবের হঙ্কার। কেন বন্ধ করা হলো, সেই প্রশ্নের সাথে স্ট্যাম্প তুলে ছুঁড়ে মারেন। ডিপিএলে আজ বিরতি। কাল আবার মাঠে গড়াবে খেলা। তার আগেই সাকিবের শাস্তির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে সিসিডিএম।
গতকাল‘হোম অব ক্রিকেট’ মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হাই ভোল্টেজ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ঢাকা আবাহনী ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। মাঠের খেলা ছাপিয়ে ম্যাচে আলোচনায় উঠে আসে আম্পায়ার ও আবাহনীর কর্মকর্তাদের সাথে সাকিবের দ্বন্দ্ব।
ঘটনাটি ঘটে আবাহনীর ইনিংসের পঞ্চম ওভারের শেষ বলে। ১৪৫ রান তাড়া করতে নেমে ৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল আবাহনী। তখন প্রথমবারের মতো আক্রমণে আসেন সাকিব। তার দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে মুশফিক চার ও ছয় মারার পর শেষ বলটি মুশফিকের প্যাডে আঘাত হানলে জোরালো আবেদন করে সাকিব।
কিন্তু সে আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলে রাগে ক্ষোভে লাথি মেরে বোলিং প্রান্তের স্ট্যাম্প ভেঙে ফেলেন সময়ের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার। আম্পায়ারের সাথে বেশ কিছুক্ষণ তর্ক করার পর সাকিবকে সরিয়ে নেন সতীর্থরা।
এরপর বৃষ্টি আসার আগেই খেলা বন্ধ করায় আম্পায়ারের সামনেই স্ট্যাম্পগুলো তুলে আছাড় মারেন সাকিব। পরে বিবাদে জড়ান আবাহনীর কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের সাথেও।
অবশ্য সাকিব তার অশোভন আচরণের জন্য খেলা শেষে ম্যাচ অফিসিয়ালদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছেন। আবাহনীর ড্রেসিংরুমে গিয়ে ক্ষমাও চেয়েছেন সুজনসহ অন্যদের কাছে।পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও মানবিক এই ভুলের জন্য ক্ষমা চান তিনি।
Leave a Reply