শ্বাসনালী ও ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে কলকাতা বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার। যদিও তার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, সমরেশের চিকিৎসার জন্য ৩ সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তারাই প্রতি মুহূর্তে সাহিত্যিকের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখছেন। শ্বাসনালীতে সংক্রমণ থাকায় তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। হাসপাতালে ভর্তির পরে তার বুকের এক্সরে করে দেখা হয়। এ ছাড়া সিটি স্ক্যান ও করোনা পরীক্ষাও হয়। করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় কিছুটা স্বস্তিতে চিকিৎসকরা।
৭৯ বছর বয়স হয়েছে সমরেশের। পরিবার সূত্রে খবর, শুক্রবার সকাল থেকে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছিল তার। ধীরে ধীরে তা বাড়তে থেকে। তাই পরিবার কোনো ঝুঁকি না নিয়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। তার আরোগ্য কামনা করা হয়েছে বিভিন্ন মহল থেকে।
গত ১০-১২ বছর ধরে সিওপিডি’র সমস্যায় ভুগছেন সমরেশ মজুমদার। এই মুহূর্তে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। এর আগে ২০২১ সালে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন লেখক, সেই সময় ভেন্টিলেশনও রাখা হয়েছিল তাকে।
৭৯ বছর বয়সী সমরেশ মজুমদার দুই বাংলার পাঠককে দশকের পর দশক করে বিমুগ্ধ করে রেখেছেন তাঁর লেখনিতে। ১৯৭৬ সালে দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল তার প্রথম উপন্যাস ‘দৌড়’। সেই যাত্রা শুরু, এরপর একে একে সাতকাহন, তেরো পার্বণ, স্বপ্নের বাজার, উজান গঙ্গা, ভিক্টোরিয়ার বাগান, আট কুঠুরি নয় দরজা, অনুরাগ-এর মতো উপন্যাস বাঙালিকে উপহার দিয়েছেন তিনি। তবে নিঃসন্দেহে তাঁর সেরা সৃষ্টি ‘উত্তরাধিকার, কালবেলা, কালপুরুষ’ ট্রিলজি।
তার লেখনির গণ্ডি শুধু গল্প বা উপন্যাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি। ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনি থেকে গোয়েন্দাকাহিনি, কিশোর উপন্যাস রচনায় তার জুড়ি মেলা ভার। তার ঝুলিতে পুরস্কারের সংখ্যাও অগণতি। ১৯৮২ সালে আনন্দ পুরস্কার, ১৯৮৪ সালে সাহিত্য আকাদেমী পুরস্কার, বঙ্কিম পুরস্কার এবং আইয়াইএমএস পুরস্কার জয় করেছেন সমরেশ মজুমদার।
Leave a Reply