ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব শেষ না হতেই উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে আরেকটি লঘুচাপ। রোববার রূপ নিতে পারে নিম্নচাপে। এর প্রভাবে বৃষ্টি বাড়লেও ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
লঘুচাপের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো বাতাস বয়ে যেতে পারে। দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোয় ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আষাঢ়ের প্রাক্কালে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর বিস্তার রয়েছে দেশজুড়ে। এরইমধ্যে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে লঘুচাপ। এসবের প্রভাবে আগামী কয়েকদিন দেশের প্রায় সব এলাকায় বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে।
আবহাওয়াবিদ ড. আব্দুল মান্নান বলেন, বলেন, বর্ষা সমাগত। এরইমধ্যে পুরো দেশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু (বর্ষা) সেট হয়ে গেছে। এ জন্যে বর্ষণও রয়েছে সবখানে। উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। রোববার লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে স্থলভাগে পৌঁছলে তা নিম্নচাপে রূপ নেবে। এ সময় মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি হবে অনেক এলাকায়। বৃষ্টি ঝরিয়ে তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়বে।
নিম্নচাপে রূপ নিলেও ঘূর্ণিঝড় বা জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা কম বল জানান তিনি। বলনে, এর প্রভাবে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জেলায় হালকা থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
দেশে এরইমধ্যে মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টির পরিমাণ বেড়েছে। এর সঙ্গে শুক্রবার সকালের পর যোগ হয়েছে লঘুচাপ। সব মিলিয়ে আগামী তিন থেকে চার দিন বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। চট্টগ্রাম, কুষ্টিয়াসহ উপকূলে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হবে। হয়ত একটানা বৃষ্টি হবে না। তবে থেমে থেমে বৃষ্টি হতে পারে।
বঙ্গোপসাগরে মৌসুমি বায়ু বিস্তার লাভ করায়, এর প্রভাবে বর্ষাকাল জুড়েই দেশজুড়ে হতে পারে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি। তবে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় তাপমাত্রা কমবে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা কমতে পারে। পাশাপাশি রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ ৭৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে নেত্রকোনায়। এ সময় ঢাকায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে ৪৮ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পাঠকের মন্তব্য
Leave a Reply