এম এ হান্নান পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ )প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জ ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়ক ও পাকুন্দিয়া টু কিশোরগঞ্জ প্রধান সড়ক ও উপসড়ক জুড়েই তিন চাকার যানবাহন টমটম ও অটোরিকশা এখন অল্প বয়সী শিশু কিশোরের হাতে। এসকল কিশোর চালকের রিকশায় যাত্রীরা চরম আতংক মাথায় নিয়ে প্রতিনিয়ত আসা যাওয়া করে। অদক্ষ, আনাড়ী ও চালকদের বিষয়ে যেনো দেখার কেউ নেই। তাই প্রতিনিয়ত বাড়ছে দুর্ঘটনা ঘটছে।
এক দিকে ব্যাটারী চালিত তিন চাকার গাড়ীর কারণে এলাকায় বিদ্যুতের অপচয় হচ্ছে, অন্য দিকে যত্রতত্র স্থানে বাড়ছে অযথা যানজট।
অল্প বয়সীদের হাতে টমটম ও অটো রিকশা ভাড়া না দিতে গাড়ি মালিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন সচেতন নাগরিক ।
দেখা যায়, মহা সড়কে দুরপাল্লার বড় বড় গাড়ীর সাথে পাল্লা দিয়ে যন্ত্রচালিত তিন চাকার যানবাহন চলছে সমান তালে। বড় বড় বাসকে তোয়াক্কা না করে দেদারছে চালাচ্ছে তিন চাকার গাড়ী। এছাড়া গ্রামীন সড়কে অদক্ষ আনাড়ী, অল্পবয়সী ও প্রশিক্ষন বিহীন চালকের সংখ্যা বেড়েই চলছে। কোন রকম ভয়, দ্বিধা ছাড়া রাস্তায় দূরন্ত বেগে ছুটে চলছে তিন চাকার যান। ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটে চলছে। যন্ত্রচালিত গাড়ী মহাসড়কের মত ব্যস্ত সড়কে চলে অনেকটা দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে। বিদ্যুৎ চালিত অটো ও টমটমের পাল যেন বৃহত্তর এলাকার প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলে ভরপুর হয়ে উঠে। তবে পথ চারীরা জানায়,এ যানবাহনের কারনে যান পুলেরঘাট উপশহর জট সৃষ্টি হওয়ায় বাজারে প্রবেশ করাতো দুরের কথা, হাঁটাচলাও দায় হয়ে পড়েছে। পাকুন্দিয়া পৌর সদর বাজার ও কোদালিয়া চৌরাস্তা সহ গ্রামগঞ্জে সড়কগুলোতে তিন চাকার গাড়ী মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ার কারনে প্রতিনিয়ত যানজটের পাশাপাশি দূর্ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। এসব যানবাহন নিয়ে কারো স্বস্তি আবার কারো অস্বস্তি প্রকাশ করতে শোনা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে,মহাসড়ক বা উপ সড়কে ছোট ছোট কিশোরের হাতে যেন টমটম বা অটো রিকসা দিলে দিনদিন বাড়তে থাকবে সড়ক দূর্ঘটনা। সেজন্য মালিকদের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যেনো কোনভাবেই কিশোর চালকের হাতে রিকশা না দেয়া হয়। এছাড়া প্রসাশনের কড়া নজর রাখা দরকার।
Leave a Reply