বিনোদন ডেস্কঃ একমাত্র ছেলে হৃতিক রোশনকে সুপারস্টার বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন তার বাবা বলিউডের জনপ্রিয় পরিচালক রাকেশ রোশন। আর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে কম চেষ্টা করেননি তিনি। ২০০০ সালে মুক্তি পাওয়া ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’ সিনেমার জন্য তাই নিজের বাড়ি পর্যন্ত বন্ধক রাখতে দ্বিধা করেননি রাকেশ রোশন। তবে এই ব্যাপারটি তিনি কখনোই ছেলে হৃতিক রোশনকে জানাননি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস থেকে জানা যায়, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রাকেশ রোশন জানান, তিনি সবসময়ই বিগ বাজেটের রোমান্টিক সিনেমা বানাতে চেয়েছিলেন। তিনি বলেন, আমি ক্রাবি দ্বীপের মতো একটি লোকেশন চেয়েছিলাম, যেখানে বিশাল পাথরের মাঝ দিয়ে নীল জল বয়ে যায়। আমি নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ বা কুইনস্টাউনের মতো জায়গায় ‘না তুম জানো না হাম’ গানের শুটিং করতে চেয়েছিলাম। এগুলো আমার স্বপ্ন ছিল, তাই আমি সিদ্ধান্ত নিলাম, আমি এই সুযোগ নেব।
তিনি জানান, তার স্ত্রী পিঙ্কি রোশন এই ব্যাপারে জানতেন, তবে হৃতিক কিছুই জানতেন না। এ বিয়ে রাকেশ রোশন বলেন, আমি শুধু আমার স্ত্রীকে বলেছিলাম, যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে আমি বাড়ি বন্ধক রেখে টাকা তুলব। যদি সিনেমাটা ফ্লপ করত, তাহলে হয়তো আমাদের অন্য কোথাও গিয়ে থাকতে হতো। কিন্তু আমি ঝুঁকিটা নিয়েছিলাম।
এটি প্রথমবার ছিল না, যখন রাকেশ রোশন এমন বড় ঝুঁকি নিয়েছিলেন। এর আগেও, ১৯৮২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘কামচোর’ সিনেমায় একটি গানের শুটিংয়ের জন্য তিনি নিজের মার্সিডিজ গাড়ি বন্ধক রেখেছিলেন।
রাকেশ রোশন বলেন, ‘তুঝ সাং প্রীত লাগাই’ গানটি এত সুন্দর ছিল যে, আমি চেয়েছিলাম এটিকে কাশ্মীর বা উটির মনোরম লোকেশনে শুট করতে। কিন্তু তখন আমার পর্যাপ্ত অর্থ ছিল না। তাই আমি আমার মার্সিডিজ বন্ধক রেখে ২ লাখ টাকা তুলেছিলাম। যদি আমি একটি ভালো সিনেমা তৈরি করি, তাহলে এই ঝুঁকি কাজে লাগতে পারে। তাই একই রকম ঝুঁকি নিয়ে ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’ করেছিলাম। সিনেমাটি পরবর্তীতে বলিউডের ইতিহাসের অন্যতম সফল সিনেমা।
আজকের সুপারস্টার হৃতিক রোশন হয়তো কখনোই জানতেন না, তার ক্যারিয়ারের প্রথম ছবির জন্য তার বাবা কত বড় ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন। রাকেশ রোশনের এই সাহসী পদক্ষেপের ফলেই ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’ সুপারহিট হয়েছিল, আর বলিউড পেয়েছিল নতুন সুপারস্টার হৃতিক রোশনকে।
Leave a Reply