গত ২৪ ঘন্টায় নতুন ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে আরো নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৫৩৭ জন। গত ২৮ এপ্রিল এর চেয়ে বেশি ২ হাজার ৯৫৫ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এনিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১২ হাজার ৯৪৯ জন। মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৮ লাখ ১৭ হাজার ৮১৯ জন হয়েছে।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তাদের বুলেটিনে এসব তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২০ হাজার ৫৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৩৩ শতাংশ। আক্রান্তদের মধ্যে একদিনে আরো ২ হাজার ২৬৭ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাদের নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৫৭ হাজার ৫৬৯ জন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ। তা আট লাখ পেরিয়ে যায় এ বছর ৩১ মে। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১১ মে তা ১২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে সাড়ে ১৭ কোটি ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে সাড়ে ৩৭ লাখ ৪৫ হাজারের বেশি মানুষের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বোঝার একটি নির্দেশক হলো রোগী শনাক্তের হার। কোনো দেশে টানা অন্তত দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়।
Leave a Reply