ঢাকা-১৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম নিতে এসে ব্যর্থ হয়ে ফিরে গেছেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য এখলাস উদ্দিন মোল্লাহ। অবস্থা বেগতিক দেখে মনোনয়ন ফরম না চেয়েই কেটে পড়েন চলচ্চিত্র অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলও। তিনিও বিএনপি সমর্থিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছিলেন। আওয়ামী লীগ বলছে, দলের কোনো পর্যায়ের প্রাথমিক সদস্য পদ দেখাতে না পারায় তারা মনোনয়নপত্র পাননি।
উপনির্বাচনের মনোনয়ন ফরম বিক্রির পঞ্চম দিনে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঘটলো নাটকীয় ঘটনা। আগে থেকেই শোনা যাচ্ছিলো মনোনয়ন ফরম কিনতে আসবেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য এখালস উদ্দিন মোল্লাহ এবং সিটি করপোরেশনের বিএনপি সমর্থিত সাবেক কমিশনার মনোয়ার হোসেন ডিপজল।
দুপুরে একটার দিকে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে আসেন এখলাস উদ্দিন মোল্লাহ। দুপুরের বিরতিতে ফরম বিক্রি বন্ধ থাকায় প্রায় পোনে দুই ঘন্টা অপেক্ষা শেষে ফরম বিক্রির কক্ষে যান এখলাস। কিন্তু ঘটে বিপত্তি। মনোনয়ন ফরম কেনার কোন শর্ত পূরণ করতে না পারায় এখলাসের কাছে মনোনয়নপত্র বিক্রিতে অসম্মতি জানান দায়িত্বপ্রাপ্তরা।
একদিকে এখলাসের পক্ষ থেকে বারবার বোঝানোর চেষ্টা করে অনুরোধ করতে থাকেন তার সমর্থকেরা। অপরদিকে ফরম কেনার যোগ্যতার পুরো বিষয়টি তুলে ধরা হয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের পক্ষ থেকে। এভাবে চলতে থাকে মিনিট দশেক। শেষ পর্যন্ত নিরাশ হয়ে কার্যালয় ছাড়তে বাধ্য হন এখলাস উদ্দিন মোল্লাহ ও তার সমর্থকেরা। তবে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পরও হাল ছাড়েননি বিএনপির সাবেক এমপি এখলাস।
এখলাসের এ ঘটনার সময় কক্ষের বাইরে অবস্থান করছিলেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল। এক সময়ের বিএনপি নেতা হিসেবে পরিচিত এ খল অভিনেতা পরিস্থিতি টের পেয়ে ফরম কেনার আশা ত্যাগ করেন। সঙ্গে আসা চলচ্চিত্র জগতের সহকর্মীদের নিয়ে তিনিও দ্রুত আওয়ামীলীগ কার্যালয় ত্যাগ করেন।
কী কারণে এখলাস মোল্লাহর ঘটনার পরপরই ফরম না কিনেই ফিরে যাচ্ছেন সে প্রশ্নের সদুত্তর বারবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। এড়িয়ে গেছেন ডিপজল নিজেও, এড়িয়ে গেছেন তার সমর্থরাও। উত্তর না দিয়ে দ্রুতই গাড়ি বহর নিয়ে ধানমন্ডি কার্যালয়ের এলাকা ছাড়েন অপ্রস্তুত ডিপজল।
এখলাস ও ডিপজলের মনোনয়ন ফরম না পাওয়ার প্রসঙ্গে দলের অবস্থান তুলে ধরেন আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান। তিনি জানান, তাদের প্রাথমিক সদস্য পদ নেই। ফলে তারা তো মনোনয়ন কিনতে পারবেন না। তাই তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply