গোপালগঞ্জে ক্যান্সার আক্রান্ত প্রতিবন্ধী শিশু সাব্বির কাজী। মাত্র ৩ বছর বয়সী শিশু জন্মগতভাবে প্রতিবন্ধী। অন্য আর ১০ টা শিশু যেমন হাটে খেলা করে তেমন শিশু সাব্বির না। জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী হাটা-চলাচলা বা দাঁড়াতে পারে না, আর এমধ্যে আবার ক্যান্সারে আক্রান্ত। ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ্ মেডিকেল কলেজ ও মিডফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা শিশু সাব্বিরের পরিবার আকুতি জানাচ্ছে সন্তানকে বাঁচানোর।
জানা গেছে, সাব্বির কাজী গোপালগঞ্জ জেলার মোকসেদপুর থানার ও ইউনিয়নের জালমাঠ বাহারা গ্রামের হতদরিদ্র কৃষক সাকিব কাজী ও বিটটি আক্তার দম্পতির একমাত্র ছেলে সন্তান। দরিদ্র বাবা সাকিব পেশায় একজন কৃষক। নিজ সন্তানকে বাঁচাতে নিজের যে কৃষি জমিটি ছিল সেটা বন্ধক রেখে হাত ছাড়া হয়ে যায় সাকিবের। বর্তমানে কৃষি মাঠে বদলী খেটে কোন মতে সংসার চালায় সাব্বির তারপরও থেমে নেই ক্যান্সার আক্রান্ত প্রতিবন্ধী সন্তানকে বাচঁনোর প্রচেষ্টা। কিন্তু হত দরিদ্র কৃষকের অর্থনৈতিক সংকটের কারনে ডাক্তার দেখানোর পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোও সামর্থ্য নেই। ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে শিশু সাকিবের জীবন। তাই সন্তানের জীবন রক্ষায় সমাজের বিত্তবান ও সরকারের কাছে সাহায্য চেয়েছেন শিশু সাব্বির কাজীর পরিবার।
শিশু সাব্বির কাজীর নানী নার্গিস বেগম জানান, সাব্বির জন্মগতভাবে প্রতিবন্ধী। অন্য ছেলে-মেয়েদের মত না। আর এর মধ্যে ক্যান্সার ধরা পড়েছে। বেশ কয়েক মাস আগে অবস্থা খারাপ হলে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসি। তখন ধার-দেনা করে প্রায় ৭০ হাজার টাকা চিকিৎসাবাবদ খরচ করি। কিন্তু এবার আমাদের অবস্থা খুবই খারাপ। ডাক্তার যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিয়েছে সেগুলো করানোর টাকাও নেই। এদিকে দিন বেড়েই চলেছে, আর আমরাও সাব্বিরের জীবন নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি। তাই সাব্বিরকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবান ও সরকারের দৃর্ষ্টি আকর্ষন করছি।
শিশুটির চিকিৎসক স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিডফোর্ড হাসপাতালের ডাঃ মোঃ নাসির উদ্দিন (এম ডি, শিশু স্বাস্থ্য) বলেন, প্রাথমিকভাবে কিছু ওষুধ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিয়েছি সেই রিপোর্টগুলো হাতে আসলে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব। এছাড়াও বিএসএমএমইউ এ দেখানোর পরামর্শ দিয়েছি। যতদ্রুত সম্ভব শিশুটির যথাযথ চিকিৎসা করানো প্রয়োজন।
( বিঃদ্রঃ আর্থিক সাহায্যের জন্য একটি বিকাশ নাম্বার- ০১৭৮৬২৪৪৮১২ ও একটি ব্যাংক আকাউন্ট নাম্বার- ০০১০২৩৪০৩৫২১৭ দেওয়া হলো, সোনালী ব্যাংক, বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউ শাখা।)
Leave a Reply