ডেস্ক নিউজ: নিখোঁজের সাতদিন পর সিলেটের কানাইঘাট থেকে শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার ভোরে নিজ বাড়ির পাশের পুকুর থেকে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় মুনতাহার মরদেহ পাওয়া যায়।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আওয়াল। তিনি জানান, রোববার ভোর ৪টার দিকে মুনতাহার নিজ বাড়ির পুকুরে তার নিথর দেহের সন্ধান পাওয়া যায়। তার গলায় রশি পেঁচানো ছিলো। শরীরে ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। লাশ দেখে বোঝা যাচ্ছে তাকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরেই নিখোঁজ ছিলো শিশু মুনতাহা। তার সন্ধান চেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন পেজে পোস্ট দেওয়া হয়।
জানা যায়, গত ৩ নভেম্বর বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় শিশুটি। এরপর তার সন্ধান চেয়ে সন্ধানদাতাকে কয়েকজন প্রবাসী লক্ষাধিক টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছিলেন।
মুনতাহার বাবার দাবি, তাকে পরিকল্পিতভাবে অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় কানাইঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করা হয়।
গত ৩ নভেম্বর সকালে বাবার সঙ্গে স্থানীয় ওয়াজ মাহফিলে যায় মুনতাহা। সেখান থেকে ফিরে প্রতিদিনের মতো আশপাশের বাড়ির শিশুদের সঙ্গে খেলতে যায় সে। কিন্তু বিকাল হয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় তাকে খোঁজাখুজি করে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে মুনতাহার পরিবার দাবি করে, তাকে অপহরণ করা হয়েছে।
মুনতাহা আক্তার জেরিন কানাইঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদল গ্রামের ভাড়ারিফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে।
Leave a Reply