প্রস্তাবিত ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের বাজেটে কিছু পণ্যের করহার কমানো হয়েছে। এতে সেসব পণ্যের দাম কমতে পারে। দাম কমার তালিকায় আছে দেশি কম্পিউটার, মোবাইল, সিমেন্ট ও স্টিল শিল্প। প্রস্তাবিত বাজেটে এসব খাতে প্রত্যাহার হচ্ছে আগাম কর। কম্পিউটার যন্ত্রাংশ, সিমেন্ট ও রডের দামও কমবে। নতুন করে কর আরোপ না করায় দাম বাড়বে না চাল, ডাল, চিনি, লবণ, দেশে উৎপাদিত পেস্টি, পাউরুটি, সাবান, বোতলজাত পানি, ফলের জুস, মসলা ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্যের দাম। এছাড়া কমবে দেশে তৈরি ফ্রিজ, গাড়ি, এসি ও পোল্ট্রি ফিডের।
দাম কমতে পারে স্যানিটারি ন্যাপকিনের। কারণ ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দেশে উৎপাদিত ন্যাপকিনের সমুদয় মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি কাঁচামাল আমদানিতে কর অব্যাহতি সুবিধা দুই বছরের জন্য বাড়ানো হয়েছে।
সুরক্ষা সামগ্রীতে শুল্ক অব্যাহতি সুবিধা আগেই ছিল। এবার করোনা শনাক্তের আরটি-পিসিআর কিট তৈরির কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক ছাড় দেয়া হয়েছে। গ্রামের মানুষের স্যানিটেশন সুবিধা বাড়াতে দেশে উৎপাদিত লং প্যানের সম্পূরক শুল্ক তুলে নেয়া হয়েছে। এতে ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ছিল।
এ সেবার ওপর ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। মেডিটেশন সেবার ওপর ভ্যাট অব্যাহতি এক বছরের জন্য বাড়ানো হয়েছে। ইস্পাতের ওপর সুনির্দিষ্ট শুল্ক টনপ্রতি ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৫০০ টাকা করা হয়েছে।
উপকরণ আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা দেয়া হয়েছে। এতে মুরগি, মাছ ও গবাদিপশুর খাবারের দাম কমানোর সুযোগ তৈরি হবে। ক্যানসারের ওষুধ উৎপাদনের কাঁচামালে আবার শুল্ক ছাড় দিয়েছে সরকার। এতে ক্যানসারের ওষুধ উৎপাদনে ব্যয় কমবে। এ ছাড়া ওষুধ শিল্পের আরও কিছু কাঁচামালে শুল্ক ছাড় দেয়া হয়েছে।
বেশ কিছু মেডিকেল যন্ত্রাংশ উৎপাদনে উপকরণ আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা দেয়া হয়েছে। দেশে এলপিজি সিলিন্ডার উৎপাদনে কাঁচামাল আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা দেয়া হয়েছে। দেশে খেলনা উৎপাদনে উপকরণ আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা দিয়েছে সরকার। ডায়ালাইসিস সেবায় ব্যবহার করা ব্লাড টিউবিং সেটের কর কমানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাজেটে শুল্ক কর বাড়ানো বা কমানোর যে প্রস্তাব করা হয় তা বাজেট ঘোষণার পরপরই কার্যকর হয়।
Leave a Reply