Warning: Creating default object from empty value in /home/burigangatv/public_html/wp-content/themes/BreakingNews/lib/ReduxCore/inc/class.redux_filesystem.php on line 29
ছাত্রশিবিরকে ভালোবাসেন অথবা ঘৃণা করেন, সবার অবদানেই ৩৬ জুলাইয়ের মহাবিজয় - বুড়িগঙ্গা টিভি ছাত্রশিবিরকে ভালোবাসেন অথবা ঘৃণা করেন, সবার অবদানেই ৩৬ জুলাইয়ের মহাবিজয় - বুড়িগঙ্গা টিভি
  1. ashiqnur96@gmail.com : editor :
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:২৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
অত্যাধুনিক ২০টি ড্রোন হারিয়ে বিপাকে যুক্তরাষ্ট্র দেশের বাজারে আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম “পাঠকের মতামত” তিনটি হাসপাতাল চীনের উপহার: দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনেও কি আলো আসবে? দুর্ঘটনায় উড়ে গেল বাসের ছাদ তবুও পাঁচ কিলোমিটার টেনে নিলেন চালক সরকার-বিএনপির নির্বাচনী টাইমফ্রেম কাছাকাছি, তবুও কেন শঙ্কা বিক্ষোভ সমাবেশ করে বগুড়ায় সরকারি পলিটেকনিকের মূল ফটকে তালা দিলো শিক্ষার্থীরা টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা তুলে নিতে বাদীর পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ, থানায় জিডি জামালপুরে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে ছেলের ছুরিকাঘাতে মায়ের মৃত্যু কেরানীগঞ্জে জোর করে সাইনবোড লাগিয়ে জমি দখলের চেষ্টা, যুবদল নেতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

ছাত্রশিবিরকে ভালোবাসেন অথবা ঘৃণা করেন, সবার অবদানেই ৩৬ জুলাইয়ের মহাবিজয়

  • সর্বশেষ আপডেট : সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ডেস্ক নিউজ: ‘যারা আমাদের পছন্দ করেন, অপছন্দ করেন, ঘৃণা করেন; যারা আমার সংগঠন ছাত্রশিবিরকে ভালোবাসেন, অবজ্ঞা করেন, ঘৃণা করেন- কার্যত সবার অবদানেই আমরা পেয়েছি ৩৬শে জুলাইয়ের মহাবিজয়।’ সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা ১১ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েম।

পোস্টে তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘ ষোল বছরের ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন এবং কর্তৃত্ববাদী সরকারের কারণে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ ছিল ভিক্টিম। দল, মত, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে কমবেশি প্রত্যেক শ্রেণী-পেশার মানুষ এ বাকশালী শাসনে নিপীড়িত-নির্যাতিত হয়েছে। ফ্যাসিস্ট কর্তৃক ভিক্টিম হওয়া থেকে বাদ যায়নি খোদ (জ্ঞাত/অজ্ঞাতসারে) ফ্যাসিবাদের ভিত্তি স্থাপনকারীরাও।’

গণবিপ্লবে নেতৃত্ব দিয়েছেন আমাদের শহীদেরা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জুলাই বিপ্লব ছিল সর্বস্তরের সকল নিপীড়িতের চূড়ান্ত সম্মিলিত বিক্ষুব্ধ বিস্ফোরণ। এই গণবিপ্লবে নেতৃত্ব দিয়েছেন আমাদের শহীদেরা। খোদা প্রদত্ত জানকে কোরবানি করে তারা সাম্য ও ইনসানিয়াত ভিত্তিক একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার জিম্মাদারি আমাদের হাতে অর্পণ করে গেছেন।’

আন্দোলনে সমাজের উঁচুতলার মানুষের পাশাপাশি সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর অবদান ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই আন্দোলন শহীদ আবু সাঈদের রক্তের উপর দাঁড়ানো আন্দোলন, শহীদ মীর মুগ্ধের স্মৃতির উপর দাঁড়ানো আন্দোলন। যে রিকশাওয়ালা ভাই ক্রমাগত দুঃশাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দিতে শহীদ হয়েছেন তার কুরবানির উপর দাঁড়ানো আন্দোলন। সহস্রাধিক শহীদ আমাদের পথ দেখিয়েছেন এক নতুন মঞ্জিলে-মাকসুদ: Bangladesh 2.0’

সাদিক কায়েম বলেন, ‘এই আন্দোলনে যেমন অবদান ছিলো সমাজের উঁচুতলার মানুষের, আবার আন্দোলনের ভ্যানগার্ড ছিলো সমাজের সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীরাও। ইংলিশ মিডিয়ামের টেক স্যাভি কিড থেকে শুরু করে কওমি-আলিয়ার তালেবে এলেম, শাহবাগ-ধানমন্ডি-মিরপুর-উত্তরা-সাভার থেকে শুরু করে বাংলার স্টালিনগ্রাদ হয়ে ওঠা যাত্রাবাড়ী, শহর-নগর, গ্রাম-গ্রামান্তরে এই বিপ্লব ছিল আপনার, আমার, সবার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙ্গিনা থেকে বিপ্লবের আওয়াজ ছড়িয়ে পড়েছিলো প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়-স্কুল-কলেজে। এ আওয়াজ রুদ্ধ প্রচেষ্টা রুখে দিয়েছিলো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়। আর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন হয়ে উঠেছিলো গণমানুষের কণ্ঠস্বর। এই বিপ্লব ছিল শ্রমিক, দিনমজুরের। আন্দোলন ছিল সাহসী সাংবাদিক, সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার ও রেমিট্যান্স যোদ্ধা প্রবাসী ভাইবোনদেরও। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েই প্রবাসীরা রাস্তায় নেমে এসেছিলেন দেশ ও জাতির মুক্তির স্লোগান তুলে।’

 

ছাত্রশিবিরের সমালোচকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘যারা আমাদের পছন্দ করেন, অপছন্দ করেন, ঘৃণা করেন; যারা আমার সংগঠন ছাত্রশিবিরকে ভালোবাসেন, অবজ্ঞা করেন, ঘৃণা করেন- কার্যত সবার অবদানেই আমরা পেয়েছি ৩৬শে জুলাইয়ের মহাবিজয়। ফতহে মক্কা, ফতহে বাঙ্গালা, ফতহে কুসতুনতিনিয়ার সিলসিলা ধরে আমরা পেয়েছি ফতহে গণভবন- যেদিন গণভবন সত্যিই গণের ভবনে পরিণত হয়।’

ঢাবি শিবির সভাপতি আরও বলেন, ‘প্রতিটা ইনসান রাস্তায় নেমে এসেছিলো, ‘আমার ভাই মরলো কেন’ সওয়ালের জবাব চাইতে। এই প্রশ্নের প্রতি উত্তরে যখন তাদের উপর হায়েনার মত হিংস্রভাবে ঝাঁপিয়ে পড়া হয়েছে, তখনই আমাদের শহীদেরা দাঁড়িয়ে গেছেন লড়াইয়ের ভ্যানগার্ড হিসেবে।’

আন্দোলনের কৃতিত্ব শহীদ ও আহত ভাই-বোনের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই আন্দোলনের সমস্ত কৃতিত্ব আমাদের শহীদ ও হাত-পা-চোখ হারানোসহ নানাভাবে আহত ভাই-বোনের। যাদেরকে বুলেটের গুলি কিংবা জুলুম কোনকিছুই দমিয়ে রাখতে পারে নি। তারা একজন শহীদ হওয়ার পরে আরেকজন দাঁড়িয়ে গেছেন দু:শাসন ও স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষাকে বুকে নিয়ে।’

সাদিক কায়েম বলেন, ‘শত জুলুম এবং স্লো পয়জনিং এর মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তার দল বিএনপির নির্বাচনে না যাওয়া, জামায়াতে ইসলামী সহ দেড় যুগ ধরে তিলে তিলে ইনকিলাবের জমিন চাষ করা মজলুম সকল বিরোধী দল, ইলিয়াস আলী, মাইকেল চাকমা, ব্যারিস্টার আরমান ও জেনারেল আযমি থেকে শুরু করে ফাঁসি-গুম-ক্রসফায়ারে হারিয়ে যাওয়া আমাদের সকল সিপাহসালার ও সহযোদ্ধা, শাপলা-শাহবাগ দ্বন্দ্বকে পাশে রেখে শহুরে মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর সমর্থন, ভাইদের হেফাজতের ঢাল হিসাবে বোনদের বুনইয়ানুম মারসুস তথা সীসাঢালা প্রাচীর হিসাবে দাঁড়িয়ে যাওয়া, ফ্যাসিস্টদের সাম্প্রদায়িক রাজনীতি ও সর্বপ্রকার ব্ল্যাকমেইলকে উপেক্ষা করে পাহাড়-সমতলের ধর্মীয় ও নৃতাত্ত্বিক সংখ্যালঘুদের সহযোদ্ধা হয়ে ওঠা, মাদ্রাসার তালেবে এলেম এবং আলেম-ওলামার অকাতরে জান-মালের কোরবানি, এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল ছাত্র সংগঠনের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এই ইনকিলাবের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিডিআর বিদ্রোহ থেকে শুরু করে আয়নাঘর পর্যন্ত, শাপলা থেকে শুরু করে মোদীবিরোধী আন্দোলন পর্যন্ত, শেয়ারবাজারে নি:স্ব মজলুম পরিবার থেকে শুরু করে সাংবাদিক সাগর-রুনির সন্তান মেঘ পর্যন্ত – ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন ছিল জুলাই ইনকেলাবের জ্বালানি। আর শহীদরা ছিলেন সীমাহীন উজ্জ্বল স্ফুলিঙ্গ।’

সামনে সুদীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শহীদ-গাজীর স্বাধীন বাংলাদেশে আমরা যারা জিন্দা আছি তাদের সামনে এক সুদীর্ঘ পথ। আমাদের শহীদদের স্বপ্ন পূরণের জন্য একটি সুখী এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে। আমরা কামিয়াব না হলে বিফল হয়ে যাবে ‘৪৭, ‘৭১ ও ‘২৪ এর সকল শহীদের রক্ত। আমাদের দৃষ্টিশক্তি হারানো ভাইদের দৃষ্টিশক্তি কোরবানি বিফলে চলে যাবে, যদি আমরা বৈষম্যহীন স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ গড়ে তুলতে না পারি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের শহীদদের প্রত্যেককে শাহাদাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করুন। তাদের রক্তের হক আদায় করে, আমাদের একটি সুখী-সমৃদ্ধ, পারস্পরিক শ্রদ্ধাপূর্ণ এবং ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার তৌফিক দিন। আমিন।’

আপনি সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো সংবাদ
    © ২০২৪ বুড়িগঙ্গা টিভি কর্তৃক সর্বসত্ব সংরক্ষিত।
 
Theme Customized By BreakingNews