ডেস্ক নিউজ: রাজকুমারী শেইখা মাহরা বিনতে মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম।
প্রকাশ্যে বিচ্ছেদের ঘোষণার জন্য বিশ্বব্যাপী আলোচিত দুবাইয়ের রাজকুমারী শেইখা মাহরা বিনতে মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম এবার নতুন এবং ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি ‘ডিভোর্স’ নামের পারফিউম উন্মোচন করেছেন।
ইনস্টাগ্রামে সম্প্রতি এক পোস্টে শেইখা মাহরা নতুন পারফিউমের (সুগন্ধি) একটি টিজার শেয়ার করেছেন যা সামাজিক মাধ্যমে ঝড় তুলেছে। সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের বরাতে এ খবর প্রকাশ করেছে জিও নিউজ।
টিজার ভিডিওতে ছিন্নভিন্ন কাঁচ, গাঢ় রঙের পাপড়ি এবং একটি কালো প্যান্থারের ভিজ্যুয়াল দেখানো হয়েছে। পরে, রাজকুমারী আরেকটি পোস্ট শেয়ার করেছেন যেখানে তিনি একটি মসৃণ চিকন কালো বোতল দেখিয়েছেন যাতে সুগন্ধির ব্যতিক্রমী নাম ‘ডিভোর্স’ দেয়া হয়েছে।
এর আগে, চলতি বছরের ১৬ জুলাই দুবাইয়ের রাজকুমারী শেইখা মাহরা ইনস্টাগ্রামে বিস্ফোরক এক পোস্ট দেন। এতে তিনি তার ব্যবসায়ী স্বামী শেখ মানা বিন মোহাম্মদ বিন রশিদ বিন মানা আল মাকতুমকে তালাক দেয়ার ঘোষণা দেন। শেইখা মাহরা দুবাইয়ের শাসক মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের মেয়ে। ২০২৩ সালের মে মাসে শেখ মানার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের কন্যা সন্তানের বয়স তখন দুই মাসও হয়নি।
সেদিন এক পোস্টে শেইখা লেখেন, ‘প্রিয় স্বামী, আপনি অন্য সঙ্গীদের নিয়ে ব্যস্ত আছেন, তাই আমাদের তালাকের ঘোষণা দিলাম। আপনাকে তালাক, আপনাকে তালাক, আপনাকে তালাক দিলাম। ভালো থাকবেন। আপনার সাবেক স্ত্রী।’
শেইখা ইনস্টাগ্রামে তার স্বামীর সঙ্গে যেসব ছবি পোস্ট করা ছিল, সব মুছে দিয়েছেন। এ বছরের মে মাসে শেইখা মাহরা হাসপাতাল থেকে তার ছবি পোস্ট করেছিলেন। তিনি কন্যাসন্তানের জন্ম দেওয়ায় খুশি হয়ে চিকিৎসক ও হাসপাতালের কর্মীদের ধন্যবাদ দিয়ে পোস্ট দিয়েছিলেন। ওই ছবিতে পাশে তার স্বামীও ছিলেন। ওই ছবিটিও মুছে দেয়া হয়।
দুবাইয়ের রাজকুমারীর বিয়ে বিচ্ছেদের ঘোষণা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক শোরগোল তোলে। দুজনই পরস্পরের ছবি তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে মুছে দেন। পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগও বন্ধ করে দেন। রাজকুমারীর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন নেটিজেনদের অধিকাংশ। কেউ কেউ আবার প্রশ্ন তুলছেন, নারী হয়ে কি এভাবে বিয়ে বিচ্ছেদের ঘোষণা করতে পারেন? তবে সাহসী রাজকুমারীর পাশে থাকার বার্তা দেন কেউ কেউ। তবে তাদের অনুসারীদের কেউ কেউ ভেবেছেন, তাদের অ্যাকাউন্ট হয়তো বা হ্যাক হয়েছে।
শেইখা মাহরা সংযুক্ত আরব আমিরাতে নারীদের ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করেন। তিনি যুক্তরাজ্যের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন।
Leave a Reply