ডেস্ক নিউজ: হাসপাতালে ২৭ দিন চিকিৎসার পর মারা যাওয়া শিক্ষার্থী আশিক বাবুর মরদেহ দাফন সম্পন্ন হয়েছে। কুড়িগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ তিন স্থানে জানাজা শেষে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। আশিক জেলার উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের সাতভিটা গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে। পাঁচপীর ডিগ্রি কলেজের স্নাতক ২য় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
নিহতের পরিবার জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকালে গত ৪ আগস্ট কুড়িগ্রাম শহরের শাপলা চত্বর এলাকায় আন্দোলনকারী ও বিরোধীদের সংঘর্ষে মাথায় আঘাত পায় আসিক। পরে বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। অবস্থার উন্নতি না হলে সেখান থেকে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। ওই হাসপাতালে ২৭ দিন চিকিৎসার পর রোববার দুপুরে তিনি মারা যান।
স্বজনরা জানান, রোববার আশিকের মৃত্যুর খবরে হাসপাতালে ছুটে যান বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়করা। রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আশিকের জানাজা শেষে মরদেহ পাঠিয়ে দেয়া হয় কুড়িগ্রামে। জেলা শহরে লাশবাহী গাড়ি পৌঁছালে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় শহীদ মিনার এলাকায় জানাজার আয়োজন করে জেলা সমন্বয়করা। পরে আশিকের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাঁচপীর ডিগ্রী কলেজ ও নিজবাড়ির পাশের স্কুল মাঠে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়। আশিকের মৃত্যুতে হতবিহবল শোকাহত পরিবারসহ স্থানীয়রা। এ সময় হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন স্বজনসহ এলাকাবাসী।
স্থানীয় আব্দুস ছালাম বলেন, আশিকের হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে বিচার দাবি করছি আমরা।
নিহত আশিকের বাবা চাঁদ মিয়া জানান, সংসারের বড় ছেলেকে হারিয়ে তারা খেই হারিয়ে ফেলেছেন। তাদের আশা ভরসা সব শেষ হয়ে গেছে। বলেন, আমি কার কাছে বিচার চাইবো।’
অধ্যক্ষ অজয় কুমার সরকার বলেন, কুড়িগ্রামের পর পাঁচপীর কলেজ মাঠে জানাজা পড়ানো হয়। আশিকের মৃত্যুতে কলেজ থেকে তিন দিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে। স্মৃতি ফলক তৈরি করা হবে।
Leave a Reply