1. ashiqnur96@gmail.com : editor :
রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
পাঁচ দশকের ব্যবধানে প্রথম কোনো পাকিস্তানি জাহাজ সরাসরি বাংলাদেশে আওয়ামী লীগসহ ২৬টি দলের মতামত না চাওয়ার ব্যাখ্যা দিয়েছেনঃ সংস্কার কমিশন সরকার পরিচালনায় অদক্ষতা সামনে এলে জনগণ তা মেনে নেবে নাঃ তারেক রহমান আজিমপুরে বাসা থেকে অপহৃত আট মাসের সেই শিশু উদ্ধার জুমার নামাজের খুতবার গুরুত্ব কেরানীগঞ্জে দেড় কোটি মুল্যের সরকারি জমি উদ্ধার ক্রীড়া সংগঠক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সাইমন চৌধুরীকে সন্মাননা প্রদান অপহরণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার মামলায় সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র কারাগারে ঢালাও মামলার প্রবণতা বিব্রতকরঃ আইন উপদেষ্টা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলা বাতিল

বন্যায় কোথায় কেমন ক্ষতি

  • সর্বশেষ আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট, ২০২৪

ডেস্ক নিউজ:চলমান বন্যায় এখন পর্যন্ত দেশের আট জেলার ২৯ লাখ ৪ হাজার ৯৬৪ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি। ক্ষতিগ্রস্ত এসব জনগণের জন্য জেলা ভিত্তিক বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে দুর্যোগ মন্ত্রণালয়।

তিনি বলেন, ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বন্যা কবলিত হয়েছে। আট জেলায় মোট ৪ লাখ ৪০ হাজার ৮৪০ টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

পানিবন্দি ও ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের আশ্রয় দিতে মোট এক হাজার ৫৩৪টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে মোট ৭৫ হাজার ৬৬৮ জন লোক এবং ৭ হাজার ৪৫৯টি গবাদিপশুকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত সচিব।

কোন জেলায় কত ক্ষতি?

ফেনী

ফেনী জেলার ৬টি উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত। পানি বন্দি ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা প্রায় ৩ লাখ। বন্যার পানিতে ডুবে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। ৭৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ২০ হাজার মানুষ। ৭৬টি মেডিকেল টিম চালু রয়েছে। এ ছাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে নগদ ৪২ লাখ এবং ত্রাণ কার্য (চাল) ১ হাজার ৪০০ টন ও শুকনা খাবার ৩ হাজার প্যাকেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

কুমিল্লা

বন্যায় কুমিল্লা জেলার ১২টি উপজেলার ১২৪টি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিবন্দি পরিবার সংখ্যা ১ লাখ ৫৪ হাজার ৬৬১টি। দুর্যোগকবলিত জনসংখ্যা ১ লাখ ৮৯ হাজার ৬০০ জন। ৫৮৭টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণকারী লোকসংখ্যা ৪ হাজার ৩০২ জন এবং গবাদিপশুর সংখ্যা ৬৬৭টি। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে নগদ ২৫ লাখ টাকা এবং ত্রাণ কার্য (চাল) ১ হাজার ৬০০ টন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া

জেলার ২টি উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ পানিবন্দী পরিবার সংখ্যা ১২শ’ এবং ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৪ হাজার ৯৯১ জন। নিহত হয়েছেন ১ জন। ১১টি আশ্রয়কেন্দ্র আশ্রয় গ্রহণকারীর সংখ্যা ৪৮ জন। মেডিকেল টিম চালু আছে ৬টি। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে নগদ ১৫ লাখ টাকা এবং ত্রাণ কার্য (চাল) ১ হাজার ৬০০ টন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

নোয়াখালী

নোয়াখালী জেলার ৮টি উপজেলার ৮৬টি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিবন্দী পরিবার সংখ্যা ১ লাখ ৮৪ হাজার ৯০০ এবং ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ১৯ লাখ ৮০ হাজার জন। আশ্রয়কেন্দ্র খোলার সংখ্যা ৩৮৮টি৷আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণকারী লোকসংখ্যা ৩৬ হাজার ১১৫ জন ও আশ্রিত গবাদি পশুর সংখ্যা ৪ হাজার ৭১৪টি। ৮৮টি মেডিকেল টিম চালু। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে নগদ ২৫ লাখ টাকা এবং ত্রাণ কার্য (চাল) ১ হাজার ৬০০ টন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম

বন্যায় চট্টগ্রাম জেলার ৩টি উপজেলার ৩৮টি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিবন্দী পরিবার সংখ্যা ৩৫ হাজার ৭৫০ এবং ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ জন। আশ্রয়কেন্দ্র খোলার সংখ্যা ২৩৯টি৷ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণকারীর সংখ্যা ১ হাজার ৭২৫ জন এবং ৬২টি গবাদি পশুকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। ১৩৭টি মেডিকেল টিম চালু। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে নগদ ১৫ লাখ টাকা এবং ত্রাণ কার্য (চাল) ১ লাখ ৬০০ টন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজার জেলার ৬টি উপজেলার ৩৭টি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিবন্দী পরিবার সংখ্যা ২২ হাজার ৫৭৭ এবং ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ১ লাখ ১২ হাজার ৬৬৭ জন। আশ্রয়কেন্দ্র খোলার সংখ্যা ১৬টি। আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণকারীর সংখ্যা ৪ হাজার ৩২৫ জন এবং আশ্রিত গবাদি পশুর সংখ্যা ১৮২টি। মেডিকেল টিম চালু আছে ৩১টি। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে নগদ ১০ লাখ টাকা এবং ত্রাণ কার্য (চাল) ১ হাজার ৮৫০ টন ও শুকনা খাবার ১ হাজার প্যাকেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

খাগড়াছড়ি

বন্যায় খাগড়াছড়ি জেলার ৮টি উপজেলার ২৭টি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিবন্দী পরিবার সংখ্যা ৩৩ হাজার ৫২২ এবং ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ১ লাখ ১০ হাজার ৭১ জন। আশ্রয়কেন্দ্র খোলার সংখ্যা ৯৯টি। আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণকারীর সংখ্যা ৯ হাজার ১৩ জন এবং আশ্রিত গবাদি পশুর সংখ্যা ১ হাজার ৮৩৪টি। মেডিকেল টিম চালু ১৮টি৷ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে ত্রাণ কার্য (চাল) ৮০০ টন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

হবিগঞ্জ

বন্যায় হবিগঞ্জ জেলার ৫টি উপজেলার ২২টি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পানিবন্দী পরিবার সংখ্যা ৮ হাজার ২৪০ জন। আশ্রয়কেন্দ্র খোলার সংখ্যা ১১৬টি। আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণকারীর সংখ্যা ১৪০ জন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে নগদ ২৫ লাখ টাকা এবং ত্রাণ কার্য (চাল) ১ হাজার ৯০০ টন ও শুকনা খাবার ৩ হাজার প্যাকেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

আপনি সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো সংবাদ
    © ২০২৪ বুড়িগঙ্গা টিভি কর্তৃক সর্বসত্ব সংরক্ষিত।
 
Theme Customized By BreakingNews