পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের হাত থেকে আইফোন কেড়ে নিয়েছে এক ছিনতাইকারী। রাজধানীর বিজয় সরণি থেকে গত রোববার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। এদিকে এই ছিনতাইয়ের ঘটনায় চারদিকে শোরগোল পড়ে গেছে। ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য বন্ধের যেমন দাবি উঠেছে, তেমনি অনেকের মন্তব্য হাস্যরসেরও জন্ম দিয়েছে।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, গত রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি দপ্তর থেকে বাসার দিকে যাচ্ছিলেন। বিজয় সরণি গিয়ে যানজটে পড়েন। তখন মোবাইল ফোনে ব্রাউজিং করছিলেন। তখন গাড়ির জানালা খোলা ছিল। এমন সময় এক ছিনতাইকারী তার মোবাইল ফোন টান দিয়ে নিয়ে যান।
পরিকল্পনামন্ত্রী তাৎক্ষণিক গানম্যানকে বিষয়টি জানান। কিন্তু গানম্যান বের হয়ে আর ছিনতাইকারীকে ধরতে পারেননি। কাফরুল থানায় এই ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ পরিকল্পনামন্ত্রীর মোবাইল ফোন উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। তবে এখন পর্যন্ত তার মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে পরিকল্পনা মন্ত্রীর ফোন ছিনতাইয়ের খবর ছড়িয়ে পড়লে চারদিকে শোরগোল পড়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ওঠে আলোচনার ঝড়। ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণের দাবি তোলেন কেউ কেউ। তবে অনেকেই আবার করেন রসিক মন্তব্য।
আফজালুল বাশার নামে একজন তার ফেইসবুক পোস্টে লেখেন, ‘এই ছিনতাইকারীর পরিকল্পনা ভালো ছিল। তা না হলে তিনি পরিকল্পনামন্ত্রীর মোবাইল ছিনতাই করতে পারেন?’। মো. পাভেল হোসাইন মন্তব্য করেছেন, ‘কেন রে ভাই, চোর কি কেবল সাধারণ মানুষের ফোনই ছিনতাই করবে?’ আবার মোস্তাফিজুর রহমান নামের আরেক ফেইসবুক ইউজার মন্তব্য করেছেন, ‘চৌকশ ছিনতাইকারী। তা না হলে আগে-পিছে পুলিশের গাড়ি থাকার পরও কীভাবে ভিআইপি গাড়ি থেকে ফোন ছিনতাই করে।’। নূর ইসলাম নামের এক জনের রাসাত্মক মন্তব্য, ‘চোর কি আর মন্ত্রী চেনে?’
মাজহারুল ইসলাম আকাশ নামের এক ব্যক্তি এ ঘটনায় সিরিয়াস একটি প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন। তিনি বলেছেন, ’একজন মন্রী সিকিউরিটি ফোর্স নিয়ে চলেন তারপরো এই অবস্থা! তাহলে সাধারণ পাবলিকের নিরাপত্তা কোথায়? আবার অনেকেই জানিয়েছেন, তারাও এ ধরনের ছিনতাইয়ের সম্মুখীন হয়েছেন।
এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তারে পুলিশ মাঠে কাজ করছে। তারা সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছেন অপরাধীকে ধরতে।
Leave a Reply