1. ashiqnur96@gmail.com : editor :
শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
আজিমপুরে বাসা থেকে অপহৃত আট মাসের সেই শিশু উদ্ধার জুমার নামাজের খুতবার গুরুত্ব কেরানীগঞ্জে দেড় কোটি মুল্যের সরকারি জমি উদ্ধার ক্রীড়া সংগঠক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সাইমন চৌধুরীকে সন্মাননা প্রদান অপহরণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার মামলায় সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র কারাগারে ঢালাও মামলার প্রবণতা বিব্রতকরঃ আইন উপদেষ্টা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলা বাতিল বাসযাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার মামলায় সাবেক আইজিপি শহীদুল হকসহ তিনজনকে রিমান্ডে বিপিএল নতুন আসর শুরু হতে যাচ্ছে আগামী ৩০ ডিসেম্বর থেকে নদীতে ঝাঁপ দেয়া পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার

অতিরিক্ত সময়ে জিতে গেল আর্জেন্টিনা

  • সর্বশেষ আপডেট : সোমবার, ১৫ জুলাই, ২০২৪

খেলা ডেস্ক: উরুগুয়ের সঙ্গে সমান ১৫ শিরোপা নিয়ে সর্বোচ্চ কোপা জয়ীর তালিকায় যৌথভাবে ছিল আর্জেন্টিনা। তবে টুর্নামেন্টটির ৪৮তম আসরের ফাইনালে কলম্বিয়াকে হারিয়া টানা দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তোলার পাশাপাশি টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ ১৬ শিরোপার মালিক এখন আর্জেন্টিনা। ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন আর্জেন্টিনার তারকা লাওতারো মার্টিনেজ। তার গোলে ১-০তে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা।

 

এর আগে ২০২১ সালে কোপার ফাইনালে ব্রাজিলকে ১ গোলে হারিয়ে ১৫তম কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছিল আর্জেন্টিনা। সেবার একমাত্র গোলটি করেন ডি মারিয়া। আর এবার কলম্বিয়াকেও ম্যাচের একমাত্র গোলে হারিয়ে শিরোপা ধরে রাখলো আর্জেন্টিনা।

 

ম্যাচের ১১২ মিনিটের মাথায় ডি বক্সের সামনে থেকে লো সেলসো ফ্লিকে বল বাড়িয়ে দেন ডানদিকে থাকা লাওতারোকে। বল পেয়েই এই ফরোয়ার্ড ঢুকে পড়েন বক্সের মধ্যে। তার সামনে ছিলেন কেবল কলম্বিয়ার গোলরক্ষক ভার্গাস। তার মাথার উপর দিয়ে জোরালো শট নিয়ে বল জালে জড়ান ইন্টার মিলানের তারকা মার্টিনেজ।

সোমবার (১৫ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে নির্ধারিত সময়ের ১ ঘণ্টারও বেশি সময় পর মাঠে গড়ায় ম্যাচটি। এদিন টিকিট ছাড়াই দর্শকদের মাঠে ঢুকে পড়ার কারণে সময়মতো খেলা শুরু করতে পারেনি আয়োজকরা। প্রায় দেড় ঘণ্টার (৮৩ মিনিট) চেষ্টায় দর্শকদের নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন মাঠের নিরাপত্তাকর্মীরা। শেষ পর্যন্ত ভোর ৬টার ম্যাচ শুরু হয় বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টা ২৫ মিনিটে।

 

ম্যাচের শুরুতেই আক্রমণে যায় আর্জেন্টিনা। প্রথম মিনিটে গঞ্জেলো মনটিয়েলের ক্রস থেকে হুলিয়ান আলভারেজের হেড গোলবারের বাঁ-পাশ মিস করে বাইরে দিয়ে চলে যায়। এরপর ৫ মিনিটে লুইস দিয়াজ ও ১৩ মিনিট কার্লোস কুয়েস্টা কলম্বিয়ার হয়ে দুটি আক্রমণ করে।

 

২০ মিনিটে ডি মারিয়ার ক্রস থেকে বাঁ-পায়ের শট নেন লিওনেল মেসি। তবে মেসির শট সেভ করেন কলম্বিয়ার গোলরক্ষক কামিলো ভারগাস। ৩২ মিনিটে দারুণ একটি আক্রমণ করে কলম্বিয়া। আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডাররা সেটি ব্লক করে দিলেও কর্নার পেয়ে যায় কলম্বিয়া। তবে কর্নার কিক থেকে বল তালুবন্দি করে নেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।

এর তিন মিনিট পর ফের আক্রমণে যায় আর্জেন্টিনা। ডি-বক্সের ভেতরে কলম্বিয়ার ডিফেন্ডারদের ড্রিবলিং করে বল নিয়ে আগানোর চেষ্টা করছিলেন মেসি। তবে শেষ পর্যন্ত আর লক্ষ্যে শট নিতে পারেননি। বল চলে যায় মাঠের বাইরে। চোটও পেতে হয় মেসিকে, তবে তখনও মাঠ ছেড়ে যাননি তিনি।

৪০ মিনিটে রড্রিগেজের ক্রস থেকে হেড নেন কলম্বিয়ার জন অ্যারিয়াস। তবে ডানপাশ দিয়ে বল চলে যায়। ৪২ মিনিটে ফ্রি-কিক পায় আর্জেন্টিনা, সেখান থেকে কিক নেন মেসি। ডি-বক্সের ভেতর আর্জেন্টিনার নিকোলাস ত্যাগলিয়াফিকোর হেড চলে যায় গোলবারের উপর দিয়ে। অবশেষে গোল না করেই বিরতিতে যেতে হয় দুই দলকে।

দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমেই আক্রমণ কলম্বিয়ার, ৪৭ মিনিটে সান্তিয়াগো অ্যারিয়াসের ডান পায়ের দ্রুতগতির শট গোলবারের ডানপাশ দিয়ে চলে যায়। এরপর কাউন্টার অ্যাটাকে যায় আর্জেন্টিনা। অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারের অ্যাসিস্ট থেকে ডি মারিয়ার করা বাঁ-পায়ের শট সেভ দেন কলম্বিয়ার গোলরক্ষক।

৫৪ মিনিটে গোল করার আরেকটি সুযোগ তৈরি করে কলম্বিয়া। ডেভিনসন সানচেজের হেড চলে যায় গোলবারের উপর দিয়ে। কর্নার কিক থেকে হেড করে তাকে অ্যাসিস্ট করেছিলেন জন কর্ডোবা।

ম্যাচের ৬৪ মিনিটের ঘটনা হয়তো আর্জেন্টিনা ফুটবলের জন্য দুঃসহ স্মৃতি হয়ে থাকবে। আক্রমণভাগে যখন দলের বিশৃঙ্খল অবস্থা, তখনই ইনজুরিতে পড়তে হয়েছে আর্জেন্টিনার প্রাণভোমরা লিওনেল মেসিকে। নিজেই দৌড়াতে গিয়ে ইনজুরিতে পড়েছেন। তারকা এই ফুটবলারের চোট এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, তার চোখ দিয়ে অশ্রু প্রায় বেরিয়ে আসছিল।

মেসিকে অবশ্য কেউ ফাউল করেনি। এরপর আর তাকে মাঠেই রাখতে পারেননি আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি। বদলি হিসেবে নিকোলাস গঞ্জালেজকে মাঠে নামান তিনি।

ম্যাচের ৭৫ মিনিটে বল জালে জড়িয়েছিল আর্জেন্টিনা। মেসির বদলি হিসেবে নামা গঞ্জালেস পেয়েছিলেন জালের নাগাল। কিন্তু অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল হয়। পরে ৮৮ মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া হয় আর্জেন্টিনার। ডি মারিয়ার ক্রস গোলবারের সামনে বাড়ান নিকো গঞ্জালেস, কিন্তু জুলিয়ান আলভারেজ সময়মতো পৌঁছাতে পারেননি। ৮৭ মিনিটে ডি মারিয় আরেকটি ভালো ক্রস দিলেও ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো বলটা রাখতে পারেনটি।

শেষ মুহূর্তে কলম্বিয়ার বক্সে পরপর কয়েকটি সুযোগ তৈরি করে আর্জেন্টিনা। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি ডি মারিয়া। এতে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে গোলশূন্য থেকে যায় ম্যাচ। পরে ম্যাচটি গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। এর আগে সেমিফাইনাল পর্যন্ত কোনো অতিরিক্ত সময় ছিল না।

আপনি সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো সংবাদ
    © ২০২৪ বুড়িগঙ্গা টিভি কর্তৃক সর্বসত্ব সংরক্ষিত।
 
Theme Customized By BreakingNews