কেরানীগঞ্জ (ঢাকা): ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানার কালিন্দী ইউনিয়নের গদারবাগ এলাকায় কয়েক হাজার জনসাধারনের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ওই এলাকার ভুক্তভূগী জনগন ঢাকা নবাবগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। শনিবার(২৯ জুন) দুপুরে স্থানীয় কয়েক শতাধিক মানুষ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ঢাকা নবাবগঞ্জ মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়ক দখল করে বিক্ষোভ করে। এতে ঢাকা-নবাবগঞ্জ- বান্দুরা মহাসড়কে এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ বন্ধ করা রাস্তা পুনরায় চলাচলের উপযোগী করার আশ্বাস দিলে অবরোধকারীরা মহাসড়ক থেকে সরে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
জানা গেছে, কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন কালিন্দী ইউনিয়নের গদারবাগ বালুর মাঠে শত শত বসতবাড়ির চলাচলের রাস্তার ইটের সোল্ডিং গুড়িয়ে দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দেয় মডেল থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কামরুল ইসলাম কামুর নেতৃত্বে কালিন্দী ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মালেক ও ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ আজিম খান সহ ৩০- ৪০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী।এতে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী কয়েক শতাধিক বাসিন্দা ভোগান্তিতে পড়ে। কামরুল ইসলাম কামু হত্যা মামলার আসামি ও এলাকার মূর্তিমান আতঙ্ক, তার রয়েছে নিজস্ব লাঠিয়াল বাহিনী। এই ভয়ে এলাকার কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পাচ্ছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক বাড়ির মালিক জানান, কামুর অত্যাচারে এলাকার বাড়িওয়ালারা অতিষ্ঠ। এরা পারিবারিকভাবেই সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। কামু নিজে জিনজিরা এলাকার রকিব উল্লাহ বাবুল হত্যা মামলার আসামি। এছাড়া কয়েকদিন আগে তার বড় ভাই নজরুল ইসলাম নজু কেরানীগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের জমি দখলের উদ্দেশ্যে জোরপূর্বক সেখানে সাইনবোর্ড স্থাপন করে। পরে শিক্ষার্থীরা স্কুলের জমি রক্ষার্থে আন্দোলন শুরু করলে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সেখান থেকে ফিরে আসে।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম কামুর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
বিক্ষোভ মিছিল থেকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে জনগণের চলাচলের রাস্তা উন্মুক্ত করে সন্ত্রাসী কামুর উপযুক্ত বিচার না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দেয়া হয়।
Leave a Reply