সিলেট অঞ্চলে দুই দিনে পাঁচবার ভূকম্পন অনুভূত হওয়ায় এখানকার ২৪টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন আগামী ১০ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে সিটি কর্পোরেশন।
রোববার বিকেলে ঝুঁকিপুর্ণ ভবনগুলোতে সিসিকের অভিযানের পর এ তথ্য জানিয়েছেন সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
মেয়র আরিফুল বলেন, ভূ-বিষেষজ্ঞদের মতে একসাথে কয়েকবার ছোট ভূ কম্পনের পর ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ওই এলাকায় বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা থাকে। তাই বাড়তি সতকর্তার অংশ হিসেবে তালিকাভূক্ত ঝুঁকিপুর্ণ ভবনগুলো আগামী ১০ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ঝুঁকিপুর্ণ এসব ভবনের তালিকায় মার্কেট, দোকানপাট, বাসাবাড়ি ও পুরাতন সরকারি দপ্তরও রয়েছে।
মেয়র বলেন, ২০০৫ সালে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে নগরীর ৩৫ টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করা হয়েছিল। পরে কয়েকটি ভবন ভেঙ্গে দেয়া হয়।
২০১৯ সালে নতুন করে সার্ভে করে নগরীর ২৩টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এর বাইরে গতকাল শনিবার ভূমিকম্পে হেলে পড়া আরো দুটি ভবনকে নতুন করে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে।
ঝুঁকিপুর্ণ ভবনগুলো হচ্ছে,জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের উত্তর পাশের কালেক্টরেট ভবন-৩, জেলরোডস্থ সমবায় ব্যাংক ভবন, একই এলাকায় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার সাবেক কার্যালয় ভবন, সুরমা মার্কেট, বন্দরবাজারস্থ সিটি সুপার মার্কেট, জিন্দাবাজারের মিতালী ম্যানশন, দরগাগেইটের হোটেল আজমীর, বন্দরবাজারের মধুবন সুপার মার্কেট, টিলাগড় কালাশীলের মান্নান ভিউ।
এছাড়া, নগরের শেখঘাট এলাকায় শুভেচ্ছা-২২৬ নম্বর ভবন, যতরপুরের নবপুষ্প ২৬/এ বাসা, চৌকিদেখির ৫১/৩ সরকার ভবন, জিন্দাবাজারের রাজাম্যানশন, খারপাড়ার মিতালী-৭৪, মির্জাজাঙ্গাল মেঘনা এ-৩৯/২, পাঠানটুলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর বাগবাড়ির একতা ৩৭৭/৭ ওয়ারিছ মঞ্জিল, একই এলাকার একতা ৩৭৭/৮ হোসেইন মঞ্জিল, একতা-৩৭৭/৯ শাহনাজ রিয়াজ ভিলা,জেন্টস গ্যালারি, বনকলাপাড়া নূরানি-১৪, ধোপাদিঘীর দক্ষিণ পাড়ের পৌরবিপণী মার্কেট ও ধোপাদিঘীরপাড়ের পৌর শপিং সেন্টার ও পনিটুলা এলাকায় ১৬/১ নং আহাদ টাওয়ার।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী জানান, বারবার নোটিশ দেয়ার পরও সংশ্লিষ্টরা ভবনগুলো খালি করেননি বা এসব ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেননি। তাই এবার এসব ঝুঁকিপুর্ণ ভবনগুলোর ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে যাবে সিটি কর্পোরেশন।
Leave a Reply